সকাল সাতটায় আরামের ঘুম হারাম করেই অ্যালার্ম
টুথপেস্ট মুখে ঠুসে তারপর হুড়োহুড়ি আধো ভেজা স্নান
গা ভাল করে না মুছেই প্যাঁক প্যাঁক গিলেই একই দৌঁড়ে
ঘামতে ঘামতে হাঁপাতে হাঁপাতে অফিস নামক গারদে।


না আর পারছিনা কোন কিছুতেই এবার মুক্তিই চাই
অর্থের জোর থাকলে এই জীবন বদলে দিতাম তাই  
ভাবি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টা জলের দামে করে বিক্রি
সকাল ফুরিয়ে যায় কখনোই পাইনা নাস্তার'ও তৃপ্তি।

দুপুর'টা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে ঐ ফাইলের গাদায়  
সন্ধ্যা কাটে বাসের ভিড়ে পথের জ্যাম যে শুধুই কাঁদায়
আর রাত কেটে যায় সারা দিনের ক্লান্তির আঁধারে মোড়া
রাতে মানুষের করার কি'বা থাকে দৌড়ায় স্বপ্নের ঘোড়া।


ঝাপসা ঝাপসা গাছপালা শান্ত বাড়ি আকাশ ভরা তারা
কখনো সেখানে ক্ষেয়ো চাঁদ ভাসে আঁধার কালো মেঘে ভরা
দিনের শোভা সকাল দুপুর বিকেল এই তিন প্রহরে
তখন থাকি চাকরি নামক গারদের আঁধার গহ্বরে।


আমারও ইচ্ছে করে এমন সুন্দর সকালে আমি যাবো
সৈকতে বসে ঢেউয়ের উপর রোদের কাঁপন দেখবো  
অফিসে মনে হয় কি সুন্দর ঝাঁঝাঁলো দুপুরে ফাঁকা মাঠে
গাছের ছায়ায় বসে ক্লান্ত পাখির গান শুনবো নীরবে।


ইচ্ছে করে দ্বিপ্রহরে টক ডাল আর বেগুন ভাজা দিয়ে
ছোট মাছের চচ্চড়ি দিয়ে পেট ভরে ভাত খেয়ে অলসে
দোতালা ঘরে দক্ষিণের জানালার ধারে বিছানায় ঘুম
আকাশ আর ঝিরি ঝিরি সবুজ পাতা দেখতে দেখতে।


উপায় নেই কোন কিছুতেই আমার স্বাদের ঐ চাকরি
তেমন কোন মোটা টাকার বেতন নয় শুধু আহাজারি  
শুধুই খালি পকেটে আছে পোশাকের নিদারুণ বাহার
ছাড়ি ছাড়ি করি তবুও হয়না ছাড়া কি আছে করবার।
________________
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬  এথেন্স.গ্রীস
   © Copyright সংরক্ষিত ®