আমি দেখেছি প্রিয়ন্তীর চোখে সীমাহীন ভালোবাসা
মুক্তো ঝরা অহর্নিশ বাধভাঙ্গা হাসি বাসন্তী ঠোঁটের সৈকতে
অজস্র বার দেখেও তৃষ্ণিত রয়ে যায় আঁখি যুগলে
নূপুরে নৃত্যের উল্লসিত ধ্বনিতে ভাসে সময়ের অবয়ব
সুগন্ধি আবেশ জড়ানো উড়ো কেশে দিগন্তের যবনিকা আঁকা।


প্রিয়ন্তীর হেয়ালী অভিমানী ওষ্ঠে কৃষ্ণচূড়ার আভা
হৃদয়ের আকাশের জ্বল জ্বলে নক্ষত্র নেমেছে নয়নের নীলে
কাননে কাননে সুবাস ছড়িয়ে আপন সত্ত্বায়
আগুন ঝরা বসন্ত জড়িয়ে আঁচলের বাতাসে তপ্ত দুপুরে
উর্বশী সময়ের বাতায়নে দাঁড়িয়ে দেয় মায়াবী হাতছানি।


সিঁদুর ছড়ালো সন্ধ্যায় অপেক্ষার পিদিম জ্বালিয়ে
পিপাসিত নয়নে বসে থাকি জ্যোৎস্নার মৌন বলিরেখায়  
অতৃপ্ততার জোনাকি উড়ে উদাসী আকাশের সীমান্তে
সময়ের মেঘদূত এসে জমাট বাঁধে অস্তিত্বের নিভৃত দ্বারে
বিন্দু বিন্দু অপেক্ষার কণা অধর অলিন্দে জলোচ্ছ্বাস হয়ে।


প্রিয়ন্তীর পানকৌড়ি মন বিচ্ছুরিত আলো ভেদে
জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে চঞ্চলা মনে দ্বিধাহীন আবেগে
কিসের অপেক্ষা এতো সময়ের দেয়ালে দাঁড়িয়ে
যোজন যোজন দূরত্বের মাঝেও শুনি সেই মুগ্ধ হাসি
হাজার বছরের পিপাসিত মন শান্ত হয় খেয়ালি প্রহরে।  
________________
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এথেন্স গ্রীস
  © Copyright সংরক্ষিত ®