অন্ধকার বিমূর্ত এক রাত
ভরা পূর্নিমার চাঁদ তার জোছনার আলো,
এখনো আকাশ জুড়ে ছড়ায়নি পুরো মতো।
দূরের জেলে পাড়া থেকে ভেসে আসছে
মারফতী গানের কলি আর খঞ্জনী ঢোলের শব্দ।


রাতের পোকারা কত কথায় মত্ত
পুরনো এক শশ্মান ঘাট ঘেঁষে
শিমুল গাছ ছুঁয়ে বসে আছি আমরা দু'জন।
গায়ে গা ঘেঁসে একান্ত সান্নিধ্যে।


একটু দুরেই নদী ঘাটে কয়েকটি খেয়া নৌকা বাঁধা
মাঝিরা কেউ নেই, মিটমিট করে জ্বলা
হারিকেন গুলো ঝুলছে শুধু,


নির্বাক আমরা হাতে রাখা হাত,
একটু উষ্ণতা বিনিময়,
একটু করে গায়ের গন্ধ পাওয়া,
মৃদু বাতাসে ওর ফিনফিনে কয়েকটা চুল
আমার মুখে এসে লাগছে,যেন পালকের ছোঁয়া,


মৌন হয়ে দুজন রাতের নীরবতা দেখছি
নদীর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ শুনছি,,,,
কানে ভেসে আসছে গ্রামের বাউলদের
গানের সুর,আমরা তবু নির্বাক।


অনেক পরে যুবতী নারীর মতোই
পুর্নিমার আলো ঝলমল করে উঠলো যেন,
রুপালী আলোয় তার মুখ খানি দেখি৷


দেখি তার ঠোঁট,তার চোখ, ভ্রু-যুগল, গ্রীবাদেশ,
আমার চোখে মুগ্ধতা আর মগ্নতা খেলা করে।
প্রগাঢ় ভালোবাসায় ডুবে যাওয়া দেখে
আমাদের পাহারা দেয় এক ফালি চাঁদ।


নিস্তব্ধতা ভেঙে আমি বলি,কিছু বলবে না?
না,কিছুই না? না,তাহলে? তাহলে কি?
সে চাপা মিষ্টি হাসি হাসে,


আমি দ্বিধায় পড়ি কে বেশি সুন্দর?
সে নাকি ঐ চাঁদ?
সে হাসে,রাত হাসে,চাঁদ হাসে
এমনি করে ভালোবাসায় কেটে যায়,
আমাদের প্রণয়ের পুরো রাত।
_____________________
রচনাকাল: রোদেলা সকাল ১১.১০ মিনিট
৩১ মার্চ বুধবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
১৭-ই চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত ®