কোন বৈশাখী সোনালী দুপুরে যদি দেখা হয় তোমার আমার
কৃষ্ণচূড়ার আবির মাখা কোন এক হ্রদের পারে
হাতে থাকবে একগুচ্ছ কাঁচের চুড়ি হলুদ অথবা নীল
ভালোবাসার ঢেউ আঁছড়ে পড়বে নয়ন সীমান্তে
আমি মুঠো ভর্তি আকাশ এনে জড়িয়ে দেবো আঁচলে
গুঁজে দেবো তোমার এলো কেশে বেলিফুলের মালা
আলিঙ্গনে বিভোর হবো তার সুরভিত সৌরভে
রিনিঝিনি শব্দে মুখরিত হবে হৃদয় কানন।


আর যদি দেখা হয় কোন এক শুভ্র শরতের প্রভাতে  
কোজাগরী আকাশে নিচে কাঁশফুলের অলিন্দে
নীলাদ্রি ছুঁয়ে যাওয়া পবিত্র আলোর মিছিলের ভীড়ে
স্বপ্নের উঠোনে গোধূলির রাঙা সিঁড়ি বেয়ে  
যখন চাঁদ নেবে বিদায় শাপলা বনে তরঙ্গের আড়ালে  
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে জড়িয়ে রাখবো তোমায়
আমার যৌবনের দীপ্তি দিয়ে, উল্লাসী আবেদনে
অবেলার অজুহাতে, পরম আরাধ্যে।


আর যদি দেখা হয় মোহনী জোৎস্নারাতে তারার আল্পনায়
মুঠো মুঠো স্বপ্নের উঠোনে খেয়ালী মনের কবিতা হয়ে
সাগরের বালিয়াড়িতে ধীর পায়ে হেঁটে যাবো
পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলোর আলখেল্লা পরে
পুষ্প বিছানো গালিচায় ঝিনুকের ঘ্রাণে মাতাল হয়ে
নিঃশ্বাসের অন্তীম সঞ্চয়টুকু তোমায় অর্পণ করে
অধরপল্লবে শিহরণ জাগিয়ে, অন্তরের হিন্দোলে
ভালোবাসবো তোমাকেই একান্ত আদরে।
___________________
রচনাকাল শীতের সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিট
৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ২০২১খ্রিষ্টাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®