আমি দেখেছি সোনালী রাতে বাতাস এসে চুপুচুপি
গাছের পাতায় দোল খেয়ে যায় একাকী
এক নীরব শব্দের অঢেল প্রেম এবুকে ধারণ করে,
দক্ষিণ সাগরে খেলা করে আনমনে অনুতপ্ত সমীরণ  
কখনো রাতের নির্বাক স্বর হয়ে এসে চুপটি  করে
আমার জীবন খাতার পৃষ্ঠার সংবর্তন উল্টিয়ে একে একে  
যোগ বিয়োগের কথা স্মরণ করিয়ে যায়,
অবাধে খুঁজি আমার অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়া রেখার ভাঁজে।  

অর্ণনবের শান্ত জলে বেঁচে থাকে শব্দের কান্নারা নির্দ্বিধায়
স্মৃতির বোঝা আমার গলা ভারি করে তোলে
পিপাসা-মুখে আমি সারা রাত জেগে থাকি এভাবেই
ঝরে পড়া পাতা নির্জন কাননে মৃত্যুকে আওয়াজ দিয়ে যায়
তখন বুঝতে পারি বিদায় নিয়েছে কিছু প্রাণ,
অনন্ত জীবনের পৃথিবীর পথে যাপিত লেনদেন ছিন্ন করে
এই ভ্রান্ত জগতের ক্লান্ত পথের পাঁচিল ভেদে,
নবীন পথের নতুন যাত্রায় মানুষের সুখ শান্তি নিয়ে বুকে।


ক্ষণিকের ক্লান্ত পাখিরা অভ্যাগত হয়ে ডানার আবরণে  
রাতের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে ধূসর স্বস্তি নিয়ে
আজো জেগে আছে প্রতাশায় মনের জুগল চোখ  
স্বর্ণবৎ যৌবন ফিরে পাবে বলে আরেক বার
এবার হয়তো এ'রাত কেটে যাবে বেদনার হিম বিদীর্ণ করে
আমি বসে রই অধীর আগ্রহ নিয়ে নিশ্চুপ,
রাতের নির্বাক স্বর শুনতে মুহূর্তের কালের উঠোনে
এজ ঝাঁক জোনাকির নৃত্য মঞ্চের মুখরতায়।  
___________________
রচনাকাল: ক্লান্ত বিকেল ৪.৫০ মিনিট
১৯ ডিসেম্বর রবিবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
০৪-ই-পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
১৫-জামাদিউল আউয়্যাল ১৪৪৩ হিজরী
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত