আমার এতটুকু ভাবতেই ভালো লাগছে
কেউ একজন আমাকে প্রতি নিয়ত ভাবছে ।
না'ইবা ভাবুক
সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমাকে ভাববে ।


আমার আঙ্গুলগুলো নিরাবরণ হয়ে গেলে
তার হাতের অংগুটি এগিয়ে এসে
আমার অনামিকায় আবরণ দেবে ।
আমার চোখে যখন পানি ছাড়া কিছু থাকবে না
তখন সে সামান্য হলেও মুখে হাসি ফোটাবে ।


আমি যখন নিঃস্ব হবো
প্রতারিত হতে হতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবো
তখন সে আমায় সঙ্গ দেবে ।
চোখের পাপড়ি বন্ধ করতেই যখন
ভয়ানক দুঃস্বপ্নের ছায়া চোখে নামবে
তখন আমার চোখের কোণে সামান্য সুস্বপ্ন এঁকে দেবে ।


আমার যখন অমানিশা রাত্রি কাটতে চাইবে না
তখন সে ভোরের সূর্য হয়ে
আমায় শুভ্র ভোর উপহার দেবে ।
যখন বুকের ভেতর কষ্টেরা জমাট বাঁধবে
ঠিক বরফের মতো
তখন সে বরফ থেকে পানি ঝরাবে ।


যখন পৃথিবীর সব অসৌন্দর্য,
অসভ্যতা ও কুরূপ দেখে দেখে
আমার দু চোখ অন্ধ হবে
তখন সে আমার চোখে আলো হবে ।
জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণাগ্রস্থ হয়ে যখন
রেললাইনে হাটবো
যাতে রেলপিষ্ট হয়ে মারা যাই
তখন সে আমায় আত্মহত্যা থেকে বাঁচাবে ।


আমার মৃত্যুর পর যদি
আমাকে কবর দেয়ার উপযুক্ত জায়গা না মেলে
তখন সে তার বক্ষ পিন্জিরায় আবদ্ধ
হৃদ জমিনে আমাকে কবর দেবে ।
সযতনে সে কবরের উপর
কয়েক মুঠো ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবে।
___________________
রচনাকাল: বিধুর বিকেল ৬.৪৫ মিনিট
২৬ এপ্রিল সোমবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
১৩-ই বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত