সমাজের বাতায়নে দাঁড়িয়ে মুখোশ ধারী
সুশ্রী মানুষরূপী নরপিশাচ,
ঘৃণিত আনন্দের নেশা নিয়ে চোখের পাতায়,
ভোগ বিলাসের অন্তরালে,
কি যেন খুঁজে বেড়ায় সর্বদা এদিক ওদিক।


কদাচার যৌবনের ক্ষুধার্ত প্রাঙ্গনে,
নগ্ন নৃত্যের অভিলাষী মঞ্চে,
উন্মাদনার উল্লাসে,
উজ্জ্বল সজ্জিত কক্ষের আধো আলো আঁধারে,
তৃষ্ণা জড়ানো ঠোঁটের ব্যভিচারী আমন্ত্রণে।


কোথায় পার্থক্য তার !!!
আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাকা পিতৃ নামহীন নবজাত,
যার হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে,
এক পাল কুকুর, তার সাথে,
যার হিংস্র আত্মচিৎকারে অতিষ্ঠ সমাজ।


কুকুর খাচ্ছে পেটের ক্ষুধা নিবারণে
আনন্দ চিৎকারে,এক মহা উল্লাসে মেতে,
নরখাদক পিশাচ খাচ্ছে শরীরের ক্ষুধা নিবারণে,
বিত্তের নেসায়,অগাধ ভালোবাসার নামে,
আত্মহিংস্রতার স্রোতে,মিথ্যে প্রেম দহনে জ্বলে।


নির্বোধ মনুষ্যত্বের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে,
শুধুই দেখি বাকরুদ্ধ নয়নে,
সময়ের আদালতের বিচার শুধুই অট্টহাসি,
নবজাত শিশুটির বাবার মতো,
মেরুদন্ডহীন নিরুপায়,অর্থের পট্টি চোখে।
__________________
Sunday 23 July 2017
রবিবার ৮ শ্রাবণ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ
গ্রীসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রকাশিত
© Copyright সংরক্ষিত ®