সময়ের ক্যানভাসের বিদগ্ধ পাঁজরে লিখেছিলাম  
একগুচ্ছ  অনিন্দ্য স্বপ্নের মায়াজালে ঘেরা
অতীতের অজস্র অযাচিত কল্মষ কাহিনীগুলো।
নীরব অভিমানগুলো সঙ্গী করে
শব্দহীন শব্দের চাষ করেছিলাম চোখের অলিন্দে।
জীবনের সব আটপৌরে ভাবনাগুলো
অদৃষ্টের দ্বারে এসে শতবার করছে করাঘাত  
জীবন প্রবাহের মোহনায় এসে আমি  
থমকে দাঁড়িয়েছি বারবার,
কোন এক অজানা কোজাগরীর প্রত্যাশায়।
অরণ্যের বুকে খসে পড়া তারা দেখে করেছি প্রার্থনা
অনন্ত তৃষ্ণা অতিক্রম করেও অনায়াসে
হিমাদ্রীর পথ ধরে চলেছি এভাবেই নির্বাক নিঃসঙ্গ।
জীবনের নিষিদ্ধ ডায়েরির পাতায় লিপিবদ্ধ ছিল কিছু
প্রাচীন কাব্যের উদাসী বিশুদ্ধ পংক্তিমালা
তা'প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে নক্ষত্রলোকের অবলীলায়
অবসাদের দৃঢ়ভুজেরা চোখের পাতায় গড়ছে প্রাচীর  
সময়ের ক্লান্তিগুলো সহমর্মিতার দ্বারে দ্বারে হন্যে হয়ে ঘুরে
বিষণ্ণতা মেখেছে পৌষালী নিঃশ্বাসের উষ্ণতায়।
আমি আজো শুনতে পাই একাকী নিরালায়
সন্ধ্যার বুকে জোনাকির ঐকান্তিকতার আলোড়ন
এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি সময়ের পান্থশালার পথের বাঁকে
নিবিড় প্রতীক্ষায়,পর্ণকুটিরের নির্জনতায়,
হয়তো আবার নামবে জোৎস্না নিয়তির ভাঙা নীড়ে
হয়তো আবার হাসবে জীবন সুখ আনন্দের ভীড়ে।
___________________
রচনা: সোনালী দুপুর  ১২.৫৫ মিনিট
১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার  ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ  
২-এ ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১৪-ই রাজাব ১৪৪৩ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®