জীবনের তারা ভরা রাতে অনেক দূর হেঁটেছি,  
শুধুই তোমায় ভেবে ভেবে,  
হেঁটেছি জীর্ণ উপত্যকার স্তব্ধ সরণি  
অজস্র অযাচিত চিন্তায় বিভোর হয়ে আনমনে
সবুজ ধানক্ষেতের স্যাঁতসেঁতে আলপথ বেয়ে।

ঘন অরণ্যের বুক চিড়ে নির্ভয়ে অনেক হেঁটেছি  
শুধুই তোমায় ভেবে ভেবে
যাযাবর হয়ে ঘুরেছি জীবনের মধু মালঞ্চে
বিষণ্ণতায় ভরা বুকে তৃষিত নয়নে,
আবেদনী শব্দের স্পন্দনে খুঁজেছি তোমায়।


জব্দ সময়ের বিরূপ বিকাশে হেঁটেছি নির্দ্বিধায়,
শুধুই তোমায় ভেবে ভেবে,
পথের বাঁকে বাঁকে পেয়েছি মৃত্যুর পরোয়ানা
অমাবস্যার উঠোন  পেরিয়ে আঁধারের
গন্তব্যহীন ঠিকানার উজ্জ্বল বিথীকার বাঁকে।


পৃথিবীর সাদা কালো চৌখুপি ঘরে হেঁটেছি,
শুধুই তোমায় ভেবে ভেবে,
সন্ধ্যা আবীরের কুসুম রঙ হয়েছে বিবর্ণ
স্বার্থপরতায় ঘেরা অতৃপ্ত জগতের পথে প্রান্তে
হৃদয়ের সর্বস্ব বন্ধক দিয়ে কুয়াশার আলিঙ্গনে।


তবুও জীবনের সব অভিযোগ আমাকেই ঘিরে
আমিও তো মানুষ, আমার চোখে আছে অশ্রু
শিরায় শিরায় রক্ত প্রবাহিত হয়, হৃদয়ের স্পন্দনে
কথার ধনুক বয়ে আনে জল পালক ভিজিয়ে,
তবুও বেঁচে থাকি পরিবর্তনের কাঙ্ক্ষিত সুখে
শুধুই তোমায় ভেবে ভেবে।
____________________
রচনাকাল: উজ্জ্বল সকাল ৮.২৫ মিনিট
১২ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২১খ্রিষ্টাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®