একটি পরিপাটি সফেদ আরাম দায়ক বিছানা
বেশ নরম জাজিম, পালকের বালিশ
শুভ্র চাদরে ঢাকা মনোরম পরিবেশ
অস্পষ্ট স্বরে শুনতে পেলাম
কে যেন বলছে আমায় মমতা মাখা কণ্ঠে
শুয়ে পড় ওখানে নির্দ্বিধায় শান্ত চিত্তে।


অস্পষ্ট কণ্ঠের আকর্ষিত ধ্বনিকে উপেক্ষা করা
আমার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ালো
আমি বাধ্য ছেলের মতো শুয়ে পড়লাম.  
তখন মনে হলো আমি চন্দ্র রথে শুয়ে আছি
আমায় নিয়ে উড়ে চলেছে অক্লান্ত শরীরে
স্বর্গীয় কোন অজানা ঠিকানায় ।
  
এক অপরিচিত মিষ্টি সুবাসে চোখ খুললাম
কুমারী জ্যোৎস্নার আলোকিত পোশাকে সজ্জিত
নীল চোখের অপলক নয়নে
এক মধুমাখা হাসি ছড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো  
তোমার কি কিছু লাগবে, কিছু ইচ্ছে করছে
মুগ্ধ নয়নে বললাম তোমাকে একটু ছুঁতে চাই ।


অনায়াসে হাত'টি বাড়িয়ে দিয়ে বলল নাও ছুঁয়ে দেখো
আমায় আমিও ঠিক তোমার মতো মানুষ
আমি তার দিকে চেয়ে স্পর্শের অনুভূতি হারালাম
মনে মনে বললাম থাক না কিছু স্পর্শের বাহিরে
আকর্ষণীয় হয়ে ধরণীর বুকে যেমন চাঁদ
যোজন যোজন  দূরে থেকে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে অবিরত ।


সত্যি যদি চাঁদ’কে ছোঁয়া যেতো তাহলে
তাতেও বেরিয়ে আসতো অসুন্দরের শত সহস্র দৃশ্য
কতো অবাস্তব চিন্তার দ্বার পেরিয়ে হঠাৎ
কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম গভীর শান্তিতে
দশ মিলিগ্রাম ডাইজীপামের বুকে তা'মনে নেই
ঘুম ভেঙে দেখি সূর্য তখন ঢলে পড়েছে নীলিমার হৃদয়ে


আসে পাশে কেউ নেই শুভ্র বিছানার বিষণ্ণ ভাঁজে
পড়ে আছে কয়েক'টা অচেনা ফুলের পাপড়ি ।
__________________
Sunday 21 May 2017
রবিবার ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪
গ্রীসের রাজধানী এথেন্স থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®
নোট : কয়েকদিন অসুস্থ ছিলাম, হসপিটালে ছিলাম, সেই সময়ের স্মরণে লেখা।