অনেকদিন পর আজ কাঁদলাম
নির্বাক চোখে দিগন্তে তাকিয়ে থেকে,
শুধু অশ্রু বর্ষণ করলাম নীরবে!
এখন আর চিৎকার করে কাদঁতে পারি না,
হাসি পাচ্ছে,নিজের ভাগ্য দেখে পরিহাসে দেখে
নিজেকে খুব ঘেন্না লাগছে,
এতোটা খারাপ আগে কখনো ভাবিনি নিজেকে
যখন দু'চোখে ভরা স্বপ্ন শুধুই অনুপ্রেরণা দিয়ে যেতো,
তখন অনেক সৌভাগ্যবান মনে হতো নিজেকে
কিন্তু এই আটপৌরে জীবনে পা দিয়ে আমি হতবাক!
শতাব্দীর বুনিত স্বপ্নগুলো এভাবে এক মুহূর্তেই ভেঙ্গে গেলো,
কি পেয়েছি নিজের জন্য,কি পাইনি এই ছোট্ট জীবনে,
হিসেব কষতে গিয়ে দেখলাম!
না পাওয়ার পাল্লাটার ভারে আমি মুষড়ে যাচ্ছি।  
এখন আমি জীবন থেকে বিরতি চাই,
হাপিয়ে গেছি,ক্লান্ত হয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছি বার বার।
এখন আমি স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই,
কেউ স্বপ্ন দেখালে মনে হয় আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছে হয়তো
হাসি পায়,খুব হাসি পায় নিজের ভাগ্য দেখে!
ক্লান্তি ভরা সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে পিছন ফিরলে,
আমিকে দেখতে পাই নিজের অতীত!
ছোট্ট ছোট্ট প্রত্যাশাগুলো কি করে বীভৎস হয়েছে ,
এখন সামনে তাকালে বর্বরতায় ভরপুর এক জীবন দেখা যায়,
যে জীবন গ্রাস করে নিয়ে গেলো একে একে সব স্বপ্ন
সত্যি ভয় হয়,ভীষন ভয় হয় আমার,
আর বর্তমান?হাঃ হাঃ হাঃ হাসি পায়,খুব হাসি পায়,
উপহাসের হাসি,নিজের প্রতি ঘৃণা হয়।
___________________
রচনাকাল: স্তব্ধ রজনী ১১.৪৫ মিনিট
১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
২-ই বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
© Copyright সংরক্ষিত