আমি এক উড়নচন্ডী, নির্বাক নির্লিপ্ত এক কবি
খুঁজো’না আমায় নিষ্প্রভ বিদগ্ধ প্রহরের বর্ণিল আদলে  
জন অরণ্যের অশান্ত ভীড়ে ভ্রষ্ট প্রেমের উষ্ণশ্বাসে।
আমি থাকি প্রকৃতির মাঝে নিবিড় একান্ত নীড়ে
নীলাদ্রি ছুঁয়ে যাওয়া মৃত্তিকার সংকীর্ণতায়
হয়তো আমায় পাবে ঘাসফুলের মৃদু দোলন গালিচায়,  
কাঁঠাল কাঠের নৌকার উচ্ছল দুলনিতে।
যখন ঘুমিয়ে থাকে কাকলী প্রভাতে হলুদ সূর্যমুখী,
অতীতের ক্লান্ত মেঘলা গগন গায়ে মুড়ি দিয়ে।  
যখন আড়মোড়া ভাঙে স্বপ্নিল আকাশে নিজ মনে  
মধ্য যৌবনা কপোতাক্ষের চাঁদ,
তখন আমি শুয়ে থাকি একান্ত মনের কামনা নিয়ে  
ঢেউ কাটা অতৃপ্ত নদীর যৌবন ঢাকা আলোয়।  
আমি মিশে থাকি একাকার হয়ে-
হলদে পোড়া ধান ক্ষেতের উজ্জ্বল শিখায়।
  
হয়তো আমায় খুঁজে পাবে গহীন নয়নের নিলে
লাল শাড়ির অনন্তের নিতুল গাঁথুনিতে
না'হয় হেমন্তের কেশ উড়ানো উতলা বাতাসে  
হয়তো'বা খোঁপায় থাকবে বসন্তের প্রথম ভালোবাসা
অথবা একটি বিমোহিত কাঁঠালচাঁপা।
হয়তো'বা কোনো এক হেলেঞ্চা দোলা সন্ধ্যায়
সুরভী ছড়ানো লোহিত মাধবীলতার বুকে
রক্তিম আভার সিঁড়ি বেয়ে খুঁজে নিও আমায়।
হয়তো আমায় দেখবে কোন কোজাগরী সন্ধ্যায়
পিদিমের নিভু’নিভু আলোতে জোনাকি রুপে
আমায় খুঁজে পাবে চিড়ল ঠোঁটের মিষ্টি হাশির আড়ালে
মেহেদী রাঙা হাতের আবডালে উদীপ্ত রেখায়  
অথবা বিরহের তপ্ত বৃষ্টির ভেসে যাওয়া নোনা জলে
স্বচ্ছ প্রেমের প্রদ্বীপ জ্বলা স্বর্গীয় সুখের অববাহিকায়  
_________________
রচনা : শুভ্র সকাল ১১.২৫ মিনিট
০২- ই মাঘ ১৪২৭ বাংলা
১৬ জানুয়ারী শনিবার ২০২১খ্রিষ্টাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®