নারীপ্রাণের সাধনা,  
চিরবন্দনা,  করো মোরে মা।
যৌবনের উম্মাদনা,  
সঁপিলে প্রাণ মিলন সাধনায়।
একদিন নাড়ী,  কহে তারে ডাকি  
আমার অস্তিত্ব তার জঠরে।
গাহিল কোকিল,  নাচিল সমীরণ,
হইল রমনী উম্মাদ,
দেবতার পায়ে রাখিল হাত,
স্বর্গ সুখ নিলো প্রাণে।
তার মমতা স্পর্শ পেয়েছি আমি
প্রতি ক্ষণে।


মরণ যন্ত্রণা সহিয়া,
রক্তের আলপনায় আসন পাতিয়া
সঁপিলে আমায়, ধরণীর চরণে,    
রাখিতে যতনে।
তার নিতর দেহ উঠিল জাগিয়া,
আমার প্রথম কান্না শুনিয়া
নিতর দেহে জাগিল প্রাণ,
তার প্রাণে বাঁধা মোর প্রাণ।
তার বুকের প্রথম সুধা
মিটায় মোর দেহের ক্ষুধা।


প্রসব বেদনা ভুলে
মোর চোখে চোখ রেখে হাসিল রমনী,
কহিল মোরে তুই মোর ধমনী।
তার বুকে লুকিয়ে  কহিলাম আমি তুমি মোর জননী
আমার প্রাণ,  আমার পৃথিবী,
আমার কাব্যের মহামায়াদেবী।