পশ্চিম আকাশ আলোয়
আলোয় ভরে এল
সন্ধ‍্যারাণীর পদধ্বনি
শোনা গেল ;
ঘরে ঘরে সান্ধ্য প্রদীপ জ্বলল
কার যেন ফুঁপিয়ে
কান্না শোনা গেল ;
কে কাঁদে কোথায় সে
কিছু বোঝা গেল না।
ভয়ার্ত শুভ চেয়ে রইল নির্নিমেষে
প্রহরী খুঁজে ক্লান্ত হয়ে
ফিরল অবশেষে ;
কিন্তু রোদনের শব্দ আর
শোনা গেল না।
সন্ধ‍্যা গড়িয়ে রাত্রি এল
আবার নুপুরের শব্দ শোনা গেল
চঞ্চল শুভ পিস্তল নিয়ে
নদীর ঘাটে গেল।
গা ছমছম অন্ধকারে
কেউ ছিল না ঘাটের পাড়ে
আঁধার আকাশ তখনও
কিছু বলল না।
কে যেন অনুসরণ করে
শুভ ফিরে চায় বারে বারে
শেয়াল ডাকে অনেক দূরে
আর কিছু শোনা যায় না।
চিন্তিত শুভ ঘরে ফিরে এল
বিছানার 'পরে নিদ্রা হারাল
রাত্রিতে কেউ কোত্থাও ছিল না।
শুধু রাত্রির তপস‍্যায়
আঁধার ফিঁকে হয়ে যায় ;
সোনার রথে রাঙা পথে
সূর্য এল রক্ত রাঙা গায়।
কিন্তু কোন কোন ক্লান্ত রাতে
ছলনাময়ী তিমির রাতে
কে যেন ফুঁপিয়ে কাঁদে
কিছু বোঝা যায় না।