ক্ষিপ্ত মোরা অশান্ত মোরা
জীবনের প্রহসনে ;
অত‍্যাচারিত জর্জরিত মোরা
শাসকের কারাগারে।
করিছে শোষণ কশাঘাত করি
কাঁদে ভারতমাতা;
মাবোনেরা কাঁদছে আজ
নাই কোনো পরিত্রাতা।
শতবছরের অন‍্যায় যখন
সীমাহীন হয়ে যায় ;
একের মন্ত্রে জাগিল ভারত
বিদ্রোহের বাণী শোনায়।
বিদ্রোহী সিপাহীর হুঙ্কারে
শাসকের দল কাঁপে;
নানা সাহেব আর শত বিদ্রোহী
জয়ধ্বনি করে।
কূটনীতির চালে বিভেদ ঘটাল
বিদেশী শাসকের দল;
পরাস্ত হলো স্বদেশী সেনা
বিদ্রোহের শেষ হলো।
শত শত বীর করিল বপন
স্বাধীনতার মূল মন্ত্র;
জীবন আহবে ডাকে দেশমাতা
রদ্রদেব অশান্ত।
পরাধীনতার বন্ধনব‍্যথা যখন
সীমা ছাড়িয়ে যায়
ঐক্যমন্ত্রে মরণসাজে
শৃঙ্খল ভাঙিতে চায়।
এলো নেতাজী সুভাষ ক্ষুদিরাম
আর বাঘা যতীনের দল;
এলো ভগৎ সিং আর হাজারো বিপ্লবী
লক্ষ্য তাদের অটল।
রক্ত স্নান করে বিপ্লবীরা
কারাগার করে চূর্ণ;
বীরদর্পে স্বদেশী সেনা
শাসকেরে করে ধ্বংস।
জয়হিন্দ আর জয় ভারতমাতা
ধ্বনিল বিশ্বমাঝে;
আসবে সেদিন বিশ্বসভায়
শ্রেষ্ঠ আসন লভে।