সময়কে যে ভীষণ কাছের থেকে দেখেছে,
আমি সেই দেশদ্রোহী অন্তিগোনে।
ক্ষমতা পরাকাষ্ঠে জ্বলে ওঠা দাবানল,
ঘুমিয়ে থাকা জনতার শোষণের ভাষা।
সেবায়ের হবু রাজবধূ, অক্ষম ক্ষমতার ঘুমন্ত ইতিহাস।
“ইস্মনে” তুমিও হয়ত পলিনাইকে ভালবাসতে?
আমার থেকে একটু বেশি বা কম!
তবে তোমার সেই ভালোবাসা ক্ষমতার কাছে বাধ্য,
বাঁধা তুমি রাজতন্ত্রের সোনার খাঁচায়।
আমি তোমার মত নিজের হাতে নিজের বিবেককে মেরে ফেলতে পারিনি।
একটু অন্য ভাবে হলেও আমিও জীবনকে ভালোবেসেছি।
স্বপ্ন দেখেছি বাঁচবার, হীমনের হাত ধরে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন।
ভালোবাসার পৃথিবী! শান্তির পৃথিবী! মানুষের পৃথিবী!
লোভহীন, হিংসাহীন, লড়াইহীন, জীবন্ত মানুষের পৃথিবী!
শোষকহীন সেই পৃথিবীতে আছে শুধু ভালোবাসা।
সত্য ছাড়া যে জীবনে কারুর কাছে নত হয়নি, সেই অদ্রিপাসের রক্ত আমার শিরায়,
ভয় আমাকে কর্তব্য বিমুখ করতে পারেনি,
ক্লেয়নের মৃত্যুদণ্ড আমাকে পারেনি আটকাতে।
পলিনাইয়ের সেই আধ-পচা দেহকে এই হাত দিয়েই মাটি দিয়েছি আমি।
কে সেয়াইয়ের শত্রু বা মিত্র -সে কথা আমি জানি না, বা জানতে চাই না।
আমি শুধু জানি, সেদিন রাজদ্বারের সামনে যেই দেহটি পরেছিল, সেটা আমার বড় ভাইয়ের শরীর।
আর জানি আমার আধিকার আছে, সেই পড়ে থাকা শবের অন্তিম সংস্কারের।
কোন দেশ, রাজ্য বা রাজা আমার সে অধিকার কেড়ে নিতে পারে না।