মানুষ কি শুধুই রক্ত মাংসের
বাহু বীর শরীর স্তুপ?
নাকি ভেতরে আছে গুপ্ত রবিময়
এক আকাশ আলো’ রূপ ?
চোখের গহীনে যে নরম জ্যোতি ভোর
সে কি কেবলি ঝরা শিশির?
নাকি হাহাকারের আঁধার বিথী নীড়ে
এক নিঃশব্দ নিশির?
হাত বাড়ালেই কি স্পর্শে হৃদয়
গভীর দুখ যেথা মাখে?
নাকি প্রতিটি হাসির আড়ালে একটা
দীর্ঘ রাত লুকে থাকে?
আমি কি শুধু একটা নাম পরিচয়ে
ভিড়ের সমাজের নীড়ে?
নাকি নয়ন মাঝে লক্ষ তারার ভিড়ে
নিজেকে পাই ফের ফিরে?
মুখের হাসিতে কি সত্যি আসল আমি
সে কি আমার প্রতিবিম্ব?
নাকি আড়ালে জমানো অব্যক্ত কথা,
বিধ্বস্ত এক সমুদ্র?
আমি ছায়ার মতো আলোতে বদলায়
অন্ধকারে মিশে যাই?
নাকি আমি শেকড় মাটির গভীরের
যেথা নিজেকে খুঁজে পাই?
কতবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
নিজ চোখে নিজেকে খুঁজেছি,
কতবার ভিড়ের মধ্যে হেরে ভেবেছি
আমি কি আসলেই আছি?
একটা মুখ বলে গল্প আপনার
অন্য মুখে ঘৃণার আগুন ,
একটা হাত প্রতিশ্রুতির আশা বাঁধে
অন্য হাত ভাঙ্গে ফাগুন।
মানুষে’ ভেতরে ভেতর মানুষ খুঁজি
নিজেরই ভেতরে আমি,
অচিন ছায়ানীড়ে সন্ধ্যা খুঁজি ঠাঁই
নিশীথ অনুরাগে জানি।
সম্পর্কের সুতোয় বাঁধা অদৃশ্য
জগতের একলা পথিক,
যেখানে প্রতিটি হৃদয় অন্য হৃদয়ে
প্রতিধ্বনি হয় সঠিক।
মানুষ মানুষের আয়না বটে এক
হাসি অন্যের হাসি ধরে,
এক কান্না অন্য বুকের ভেতরেই
ঝরনা হয়ে যায় ঝরে।
আমি সন্ধান করি সেই মানুষেরই
যে শূন্য হৃদয়ের পূর্ণতা,
যে উষ্ণতা খোঁজে সত্যিকার আলোতে
অপর সুখে চোখে মুগ্ধতা ।
মানুষে মানুষে আচরণের আয়না
ভেতর মানুষের খোঁজ,
অন্য চোখে নিজের ছবি এঁকেছি আমি
অন্য খুশিতে খুশি রোজ।
রচনা কাল:-
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
(পূর্ণ পর্ব সাত মাত্রার মাত্রাবৃত্ত, সমমাত্রিক, সম পর্বিক, অপূর্ণ পর্ব অসম মাত্রিক, মধ্যম লয়ের মিত্রাক্ষর ছন্দ।)