একদিন এক অবুঝ মেয়ে
এসেছিল হঠাত করে মনের কোনে
                      আপনা থেকেই ।
ঠিক যেমন করের ইশান কোনে
হঠাত ঝড়ের নিশান ফোটে
ঠিক যেমন করে নিম্নচাপ
পাল্টে যায় সাইক্লোনে
ঠিক তেমন করে এসেছিল অবুঝ মেয়ে
                  কেউ জানে না ।
অবুঝ মেয়ে এমন অবুঝ
দৃষ্টি তার সবেমাত্র স্বচ্ছ দুয়ার
বিশাল পথের হাতছানিতে
খেয়ে গেছে ভ্যাবাচ্যাকা
কি করবে না করবে
কোনটা ভাল কোনটা মন্দ
হিসাবটা তার আউলে যায় অহরহ
শুধু স্বপ্ন চোখে যেদিক তাকায়
এক নিমেষে পাল্টে তা স্বপ্নভূমি
মাঝে মাঝে কোন আশার চোখ রাঙ্গানি
ভীষণ ভাবে মুষড়ে গিয়ে ডুকরে কাঁদে
আবার মুহূর্তে চোখের পানি মুছে ফেলে
                  নতুন করে স্বপ্ন দেখে ।
সেই মেয়েটার সাথে আমার হঠাত দেখা
                  কোন এক কোলাহলে
চোখে চোখে ভাব বিনিময় ।
পাগলি মেয়ে এমন অবুঝ
চোখের কোনে একটু ডাকের আভাস পেতেই
ছুটে এল আমার কাছে ।
আমিও কি অবুঝ হয়ে ডাকতে গেলাম !
একটু পরে বুঝতে পেলাম
ভুল করেছি ভীষণ রকম
যদিও এই ছোট্ট জীবন
তবুও তো পেয়ে গেছি অনেক কিছু
আর যেটুকু বাকি ছিল
অবুঝ মেয়ে ভুল করে দিয়ে গেল ।
                     কিন্তু ও কি পেল !
বুঝতে পেরে কাছে ডেকে বলি মেয়ে
                     ভুল করছ ।
কেন নিজের ক্ষতি করছ নিজের হাতে ।
তোমার তো পথ সবে শুরু
অনেক পাওয়ার সম্ভাবনায় পুরুষ্ট পথ
পেতে হবে অনেক কিছু
আমায় ছেড়ে যাওয়াই ভাল-যেতে হবে ।
অবুঝ মেয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদল ভীষণ
আর আমার ভিতর রক্ত ক্ষরণ
তবু উপায় তো নেই-


অবুঝ মেয়ে তোমায় আমি মুক্তি দিলাম
অবুঝ মেয়ে ভুল বুঝনা
আমি নিজেও মুক্ত হলাম ।