সুদীপ্ত, সত্যি বলছি মাইরি
কবিতায় কখনও মিথ্যে বলেছে কেউ
                             জানিনে,
তাই ভালবাসাকে স্থান দিয়েছি
                কবিতার পাশে সর্বদা ।
স্পষ্ট করে যদিও কাউকে বলিনি কখনও ভালবাসি
তবে ভালবেসেছি ক্ষনে ক্ষনে ।
মেয়েরা আমার কাছে দেবিতুল্য
তবে শুধু পূজো করে তুষ্ট হব
                     এমন পূজারীও আমি নই বিলক্ষণ,
ওদের স্নিগ্ধ ঠোঁটে যখন হাসির নীর ঝরে
জানো সুদীপ্ত তখন ভীষণ ইচ্ছে করে-
রাঙা ঠোঁটটা আরেকটু আরক্তিম করে দেই ছুঁয়ে ।
ঠিক যেমন গীটারের তারে আঙুলের স্পর্শ না হলে
                                        সুর ওঠে না,
তেমনি ওদের ঠোঁটে স্পর্শ ব্যাতিত
আবিষ্কার করেছি শূন্যস্থান সর্বদা ।
বেহায়া ভাবছ নিশ্চয়
সেকথা বলেছ বহুবার মজা করে
আমি কিন্তু অস্বীকার করিনি ।
চোখটা আমার বড় বেহায়া
সেকথাও স্বীকার করেছি নির্লজ্জের মত ।
তবে জানো দৃষ্টি আমার রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত ।
কারো চোখে কখনও দৃষ্টি আটকে গেলে
সে চোখের ভাষা খুঁজতে খুঁজতে
অভাগার মত এত ভেতরে ঢুকে গিয়েছি যে
হৃৎপিণ্ডের যে জায়গাটিতে টিপটিপ করে চলে রক্তের বণ্টন
তারও গভীরে গ্রহণযোগ্যতার বদলে
                         গলা ধাক্কা পেয়েছি বারবার
তাই শুদ্ধ দৃষ্টির অপচয় করিনি আর ।
এখন দৃষ্টি আমার চোখের বদলে
                           চোখের কামনায়
আর অভ্যন্তরের বদলে দেহেই আটকে যায়
সুদীপ্ত নিশ্চয়ই কৈফিয়ত চাইবেনা আর ।
মেয়েদের যদি ভালবাসতে চাও
শ্রেয় তবে দূর থেকে ভালবাসা ।
আর যদি কাছে পেতে চাও
তবে ভালোবাসার ছিটেফোঁটাও রেখনা কখনও ।
              মেয়েদের ভালবাসা কবিতা দেয়
আর ভালবেসে কাছে পেতে গেলে মৃত্যু ।
তাই যাকে ভালবেসেছি তার কাছে যাইনি কখনও
আর যার কাছে গিয়েছি, তাকে ভালবাসিনি আদৌ ।
তবে ওতে উৎসাহ আর মাদকতা দুটোই আছে
কারও সংস্পর্শে তাই মেতেছি অবলিলায়
                          কিন্তু মাতাল হইনি একবিন্দু ।
সুদীপ্ত, আমারা তো বুঝেছি নিজেদের দিয়ে যে
ভালবাসা এমন আগুনের মত
না যায় পোড়া, না যায় ছাই হয়ে যাওয়া ।
হাড় মজ্জা, অস্থি কঙ্কাল, অনুভুতির প্রতিটি মুহূর্তে
ধিকধিক করে জিইয়ে রাখে নিজেকে ।
সুদীপ্ত তুমিও ভালবেসেছ আমিও
আর চারপাশে যাদেরকে দেখছি তারাও বাদ যায়নি
কেউ পেয়েছে কেউ পায়নি
                       কেউ দূরে থেকেছে কাছে যায়নি
যেমন তুমি আর আমি ।
তবে একটা কথা স্বীকার করছি মাইরি
ওরা কিন্তু আমাদের ভালবাসতে শিখিয়েছে ।