মেডিকেলের সামনে,
হাতে নিকোটিনের বদলে একরাশ বিষন্নতা আর হতাশা নিয়ে বসে কান্তক্যাবলা।
রোগীর আনাগোনা বাড়ছে,কারো করোনা
আবার কেউ বলছে আরেহ তুমি কেন মরোনা?
মায়ের করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য,
লাইনে ভোর পাঁচটা থেকে একজন দাঁড়িয়ে হয় হন্য।
ওদিকে বলা হয় সব হাসপাতাল তো তোমাদেরই জন্য!
আনসার মারে,কলার চেপে ধরে,অপমান করে
অসুস্থ মা চেয়ে চেয়ে দেখে
আর সাথে কান্তক্যাবলাও দেখে।


উঠে দাঁড়ায় কান্তক্যাবলা
মসজিদে যায়,মন্দিরে যায়
গির্জায় যায়,প্যাগোডায় যায়।
এক হাতে কোরআন আর গীতা
আর অন্য হাতে বাইবেল আর বুদ্ধবচন।
সবগুলো নামিয়ে রাখে টেবিলের উপর
সাথে সাথে বদলে যায় সরকারের ধরন
গনতান্ত্রিকের মুখোশ খসে যায়
স্বৈরাচারিতা ফুটে উঠে।
তবে কি এদ্দিন সবই ছিলো ধর্মের খোলসে বন্দি?
এঁটেছে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার ফন্দি?
মানুষের বিশ্বাস নিয়ে করা হয়েছে খেলা
কল্লা নামানোর প্রচারণায় তবে কেটে গেছে বেলা?
নিরীহ,বোকাসোকা মানুষের বিশ্বাসকে তবে নিয়েছে হাতে
করেছে ব্যবহার যাতে মানুষ মারে?
যাতে ধর্ম নিয়ে নতুন ব্যবসা করা যায়?
আরো হুমায়ুন আজাদকে যেন জন্মানোর আগেই কতল করে?


রাজনীতিবিদরা গর্জে উঠে
নির্বাচনের আগে গোয়েবলসকে আদর্শ বানিয়ে প্রতিশ্রুতি ফুটে কন্ঠে।
বিপ্লব আনতে চাইলে অবরুদ্ধ নিষ্ক্রিয়তায় ঢেকে দেয় এই শহর।


না এ কোনো নির্দিষ্ট সরকারের কথন নয়,
এ প্রথম বিশ্বের দেশেও হচ্ছে
কালো মানুষ মরছে।
পাশের দেশেও হচ্ছে
নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে,পূজি করে বিশ্বাসকে।


তবে কান্তক্যাবলা কোথায় যাবে?
চেপে ধরে কন্ঠ
বলে তুমি খাও বসে মুড়িঘন্ট!


সমকামীরা,যেকোনো লিঙ্গের ভালোবাসার মানুষেরা সম্মান পাক
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা নিপাত যাক।
কান্তক্যাবলাই মুসলিম
হিন্দু
খ্রিষ্টান
বৌদ্ধ
নাস্তিক।
কান্তক্যাবলাই মানুষ।


কান্তক্যাবলা বাঁচলে আমরা বাঁচবো
কান্তক্যাবলা বাকস্বাধীনতা পেলে আমরা পাবো।


ধর্ম মানুষের হোক,মানুষ ধর্মের না হোক!
তবেই মানুষ ফিরে পাবে তার হারানো বোধ।