আমি বদ্ধ ঘরে বসে,জানালা দিয়ে,এক চিলতে আকাশ দেখি
তোমায় স্মরণ করে অবিরাম শুধু কবিতাই লিখি।
কারন, আমি তোমাকে কিচ্ছু দিতে পারিনি।
ক্রান্তিলগ্নে তোমার হাতটাও স্পর্শ করিনি।


লোকে নাকি ডুবে থাকে দুঃখে।
আমি উল্টো ইচ্ছে করেই ঝাঁপ দেই দুঃখের নদীতে।
কারন,আমিই দুঃখ,আপাদমস্তক দুঃখে ঢাকা আমার।
আমার আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার।
দেখোনি তুমি?বুঝোনি তুমি?
নাকি জেনে,বুঝে,ইচ্ছে করে ফেলে চলে গেলে অন্য ঘরে?


শুধু ভালোবাসা ছাড়া আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি।
এখন আমি কবিতা লিখি,তোমাকে স্মরণ করেই লিখি।
লিখে তোমার ঠিকানায় কোনোদিন পোস্ট করিনি।
খাতার পাতা ভরিয়ে লিখে,ছিড়ে কুচিকুচি করে তোমার ছবির উপর উড়িয়ে দিয়েছি।
কিন্তু তোমার প্রতি আমার ঘৃণা নেই।


লোক মারফতে জেনেছো তুমি
যে আমি হয়েছি কবি।
এখন কেন কবিতা লিখতে পারি জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলে তুমি।
জানতে চেয়েছিলে আমি অন্য কারো হাত ধরেছি নাকি
জানতে চেয়েছিলে আমি অন্য কারো আলিঙ্গনে নিঃশেষ হচ্ছি নাকি
জানতে চেয়েছিলে আমি উন্মাদের মতো অন্য কাউকে খামচে ধরি নাকি।
আমি উত্তর দেইনি।
আমার শ্যাওলায় ভরা মন উত্তর দিতে চায়নি।
কারন তুমি জানোই না ভালোবাসা বিরহে উজ্জ্বল হয়।
তুমি জানোই না আঙ্গুল দিয়ে তোমার আঙ্গুল স্পর্শ করেছি বলেই আমার আঙ্গুল দ্বারা আজ কবিতা লেখা হয়।
তুমি জানোই না তোমাকে না পাওয়ার দুঃখের অনলে আমি নিকোটিন পোড়াই না।
বরং আমি সুখের অনলে নিজেকে পোড়াই,
পুড়িয়ে নিজেকে ইস্পাত বানাই।


আমি বলেছিলাম,আমার যত শুভ্রতা সব তোমায় দিবো
বিনিময়ে তোমার বেদনা,বিমর্ষতা,কষ্ট,আর্তনাদ সব শুষে নিবো আর একটুখানি ভালোবাসাও।


শুভ্রতা দিয়েছিলাম ঠিকই,
কিন্তু অপাত্রে দিয়েছিলাম।