ইচ্ছে করে নিয়ম ভাঙ্গার আনন্দটাই আলাদা
এক ঘেয়ে জীবনে সকলেই ভাঙ্গে বার বার।
কতকটা তেজী বুড়োর গাছ থেকে
দল বেঁধে আম চুরি করার মত।


আবার ঢিল ছুঁড়ে ও পাড়ার নিতাই গাছির
রসে ভর্তি ঠিলে ভেঙ্গে ভো দৌড়ে পালানো।
একটা সময়ে নিয়ম ভেঙ্গেছি প্রতিনিয়ত
এক কথায় ওটাই ছিল সারাদিনের একমাত্র কাজ।


বাবার কানে আসতো কিছু নালিশ
বকুনির ভয়ে মুখ লুকোতাম মায়ের আঁচলে।
তাঁর পর আবার নিয়ম ভাঙ্গা আবার নালিশ
আবার লুকিয়ে পড়া একমাত্র নিরাপদ আঁচল তলে।


এভাবেই কেটে গেছে জীবনের খানিকটা সময়
এখন আর ইচ্ছে করলে ও নিয়ম ভাঙতে পারি না।
কড়া শাসনের গণ্ডী আমি পার করেছি বটে
করতে পারি ইচ্ছে মত স্বাধীন ভাবে যা খুশী তাই।


বাবার আদেশ, মায়ের নিষেধ আটকায় না আর
বরং আমিই আদেশ করি ছেলে মেয়েদের।
কিন্তু কি লাভ আমার এ মুক্ত জীবনের স্বাধীনতায়?
নেই বাবার বকুনি, মায়ের আঁচলের নিরাপত্তার উষ্ণতা।


যখন বাবা বকত, মনে হত আমি কবে বাবা হবো
ইচ্ছেমত বকব ছেলে-মেয়েদেরকে খুব মেজাজে বাবার মত।
আজ আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে বাবার মত বাবা হয়ে
অথচ খুব হিসেব করে নিতে হচ্ছে নিঃশ্বাস।


নিয়ম ভাঙ্গার মজাটা পাই না এখন আর একদম
বড় বেশী মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার দিনগুলি।
আমি আবার মায়ের আঁচলে মুখ লুকোতে চাই
বাবার বকুনি খাবার ভয়ে পালাতে চাই ঘর ছেড়ে।


ইচ্ছে করে পড়ে গিয়ে কাঁদা মেখে বই ভিজেয়ে
স্কুলে না যাবার বাহানা করতে চাই আবার আমি।
তেজী বুড়োর বকুনি খেয়ে পালাতে চাই দলবেঁধে
আগের মত আবার আমি নিয়ম ভাঙতে চাই।