যন্ত্রণাগুলো সুখের মতন, ভাগাভাগি করা যায়?
বেদনার ক্ষণে কোন মানুষে, পাশে কি কাউকে পায়?
মানুষে মানুষে কত ভেদাভেদ, শুধুই দেবার বেলায়,
নেবার জন্য ওঁত পেতে থাকে, বিবেক হারায় হেলায়।


জাত বেজাতে কত লাঠালাঠি, ঘৃণ্য হানাহানি,
ধর্ম নামের বানিজ্যে শুধু, স্বার্থের টানাটানি।
এসেছে মানুষ যার কাছ হতে, চলে যাবে তাঁর কাছে,
এই জীবনে এক পলকের, ভরসা কি কারো আছে?


তবুও কেন দুঃখের ক্ষণে, কেউ নয় কারো পাশে?
মানুষে মানুষে এই ভেদাভেদে, পশু পাখিরাও হাঁসে।
পৃথিবীর যত প্রাণীকুল থাকে, শ্রেণী বদ্ধ ভাবে,
মানুষ কবে সেই কাতারে, নিয়ম অনুসারী হবে?


ক্ষুধার তাড়নায় কীটপতঙ্গ, একে অপরকে খায়,
তাঁর চেয়ে বেশী নিকৃষ্টতা, মানুষেতে দেখা যায়।
এই হানাহানি আর রেষারেষি, কবে যাবে লোকে ভুলে?
সব মানুষে কবে ব্যাথা পাবে, একজনে ব্যাথা পেলে?


আনন্দ আর উল্লাস যদি, ভাগাভাগি করা যায়,
দুঃখের বোঝা তবে মানুষে, কেন একাকী বয়?
একটি প্রাণের বেদনায় যেদিন, সব প্রাণ ব্যথী হবে,
হয়তো সেদিন পৃথিবী হতে, দুঃখ বিদায় নেবে।