খাবারের অভাবে যে কাঁদে দিন রাত
দেয়না কেউ খেতে তাহারে,
যার পেটে ক্ষুধা নাই একেবারে রুচি নাই
সারাক্ষণ সাধে শুধু আহারে!


বাঁচবার সাধ যার করে যায় চিৎকার
আসেনা তাকে কেউ বাঁচাতে!
লোকে করে ছোটাছুটি দিনরাত লুটোপুটি
বন্দী যে মৃত্যুর খাঁচাতে।


জরে গা পুড়ে যায় এক ফোঁটা জল চায়
মিটে না আজ তার পীপাসা,
কনকনে ঠাণ্ডায় জল ঢালে কার গায়?
প্রকৃতির নিষ্ঠুর বরষা।


কেউতো ধরেনা হাত একাকী কাটে রাত
নেই যার চলবার ক্ষমতা!
অথচ যে সক্ষম তাকে দেয় সব শ্রম
এই হল মানুষের সমতা।


দৃষ্টি অন্ধ আলো দেখা বন্ধ
একাকী দাঁড়িয়ে রাস্তায়,
কত লোক আসে যায় ভ্রু কুচকে তাকায়
কেউ পার করে না তাকে হায়!


আছে যার ভুরি ভুরি গাড়ী বাড়ী সারি সারি
তাকে আরো দিতে লোকে ব্যস্ত,
না খেয়ে কাতরায় ফুটফাটে শুয়ে রয়
তার প্রতি কে হবে ন্যস্ত?


এক খানা রুটি পেতে ঘোরে ওরা পথে পথে
ওরা ও তো স্রষ্টার সৃষ্টি,
তবে কেন মানুষের দায় নেই বিবেকের
ফিরে যায় সকলের দৃষ্টি?