তোমাতেই ছিল সব ভক্তি, দিতে চেয়ে ব্যথা হতে মুক্তি,
দিয়ে গেলে আজ এ বিভক্তি, দেখালে ছলনাময় এ যুক্তি!
করে গেলে কি নিখুঁত অভিনয়, ভেবে আজো সত্যি মনে হয়,
প্রাণে কত স্মৃতি আজ দোলা দেয়, সহজে কি এত কিছু ভোলা যায়?


অবশেষে দিলে কি যে যন্ত্রণা! তাঁরপর দিতে এলে শান্তনা,
এমনটা ছিলনা তো কল্পনা, প্রাণ জুড়ে বিবিধ বিড়ম্বনা!
বুকে জড়িয়ে দিলে আশ্বাস, সরল আমি করেছি তা বিশ্বাস,
তাই আজ করে যাই পরিহাস, নিঃশেষ হলো সব উল্লাস!


মায়া ছিল ও চোখের চাওয়াতে, সুখ ছিল কাছাকাছি পাওয়াতে,
ব্যথা নিয়ে জেগে ওঠা প্রভাতে, কে বলো হাত রাখে এ হাতে?
লোকে বলে প্রেম নাকি ছলনা,আসলে এমন নাকি বলনা?
আর কত সইব এ যাতনা? দিতে পারো তুমি কোন ধারনা?


আশাতীত মহাসুখে মাতিয়ে, অফুরান কামনায় রাঙিয়ে,
আকাশের সীমানা ছাড়িয়ে, দিয়েছিলে দুটি হাত বাড়িয়ে।
তবে কেন করে গেলে নিঃস্ব? কেড়ে নিলে আমার সর্বস্ব,
যে ছিল এ আমার উপাস্য, সে নেই লাগে অবিশ্বাস্য!


নির্বাক আমি যেন মূর্তি, করেছো কি প্রয়োজনে ফুর্তি?
বুলি ছিলো ছলনায় ভর্তি, তাই বুঝি আজ এই আরতি।
আমিতো করিনি কোন অন্যায়, তবু ভাসি কষ্টের বন্যায়,
দূর করে দিয়েছিলে সংশয়, দূরে গিয়ে দিয়ে গেলে আরো ভয়!