জন্ম হতে মৃত্যু অবধি পঞ্চাশ আশি বা শতাব্দী
আয় রোজগার সুখ শান্তির জীবন বড়জোর,
তার প্রতি এতই ভক্তি নিয়োগ করা সকল শক্তি
অজ্ঞতা বলা যায় নাকি প্রলোভনের ঘোর?


আসা যাওয়া খালি হাতে মনি মুক্ত ভরা তাতে
শুন্য হতে আসা আবার শুন্যে বাঁধা ঘর,
মধ্যিখানে কান্না হাসি ঘৃণা ভালোবাসা বাসি
প্রাণের চেয়ে আপন আবার শত্রুর চেয়ে পর!


রক্তারক্তি কাটাকাটি তোষামোদ পা চাটাচাটি
পরের ধনের পোদ্দারিতে শুধুই রদবদল,
মানবতার দোহাই দিয়ে হায়া লজ্জা লুটে নিয়ে
তালের সাথে তাল মিলিয়ে শোসন জোর দখল!


জীবন যেন চোখের পলক তাতেই রিপুর এত পুলক
নিজেরটা উপভোগ করে ধরা অন্যের ঘর,
অপচয়ের পাল্লা চলে দাম্ভিকতার শক্তি বলে
পরকে আপন করতে গিয়ে আপনই হয় পর!


তুচ্ছ ক্ষুদ্র আলিঙ্গনে অপবিত্র মধুর ক্ষণে
ওই অভাগা যদি আসল কর্ম ভূলে যায়,
এই ভুবন তো ক্ষণিক ভুবন আসল পরকালের জীবন
সে জীবনের অশেষ শান্তি তার জন্য তো নয়!


দুটি ফোঁটা চোখের জলে কত তৃপ্তি মেলায় দিলে
পরিপক্ব মজবুত হয় পরকালের ঘর,
লুটে নিয়ে অন্যের ধন ক্ষণিক সুখে মোহিত মন
স্রষ্টা নয় আজ সৃষ্টি পূজায় মত্ত এই সংসার!


জন্ম হতে মৃত্যু অবধি ষাট আশি বা শতাব্দী
উপাসনার আরাধনার জীবন বড়জোর,
তারই মধ্যে অজস্র পাপ অনৈতিক এই কার্যকলাপ
নিষ্ঠাবানের পরপারে শান্তি নিরন্তর।