থমকে থাকা সময়কে দ্রুততম রুপ দেবার মাতাল পদক্ষেপ,
বিস্মিত করেছে আধুনিকতায় আচ্ছন্ন এই মহাবিশ্বকে।
উৎপত্তির সঠিক এবং বাস্তবসম্মত রূপরেখা অংকিত হলে,
ধ্বংসযজ্ঞের অবিকল পূর্বাভাস মিলবে হয়ত কোন একদিন।


সযত্নে লালিত সুখস্বপ্ন কিভাবে রুপান্তরিত হয় দুঃস্বপ্নে,
চিন্তামগ্ন আবেগে ফুটে ওঠে তারই প্রতিচ্ছবি সকলের অজান্তে।
সমূহ বিপদের সম্ভাবনা দেখেও নীরবতায় মগ্ন থাকে যে আত্মা,
কোনক্রমেই তাকে সাধারণ মানুষের সাথে তুলনা করা যায়না।


বাস্তব জীবনের কার্যাবলী ধর্ম বা নিষ্ঠার সাথে সাংঘর্ষিক হতেই পারে,
সে কারনেই তো আইন যদিও তা উপেক্ষা করে প্রনেতা নিজেই।
সাম্প্রদায়িকতাকে অবলম্বন করে দিন যাপন করে চলেছে অনেকেই,
সারাক্ষণ তারা বজ্রকন্ঠে উচ্চারণ করে যায় ধর্ম নিরপেক্ষতার বুলি।


অগ্রগামিতা আর আধুনিকতার নামে ধ্বংসলীলাকে অভিনন্দন জানানো,
যুক্তিহীন এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট সে ব্যাপারে কেউ কখনো অজ্ঞ নয়।
চিরশত্রুকে আলিঙ্গন করার যে লোক দেখানো প্রথা আজ চলমান,
হয়তো সেই ক্ষোভেই একদিন বিস্ফোরিত হবে সবুজ এই পৃথিবী।


কৌতূহল মানুষকে বিশ্ব ভ্রমান্ড দেখিয়েছে চিনিয়েছে মহাকাশ,
সার্থকতা পায়নি শুধু  অফুরান চাওয়ার সীমারেখা নির্ণয়ের প্রচেষ্টা।
তবু স্বপ্ন নিয়ে খুঁজে চলেছে উৎপত্তির সুনির্দিষ্ট যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা,
প্রাণপণে ধ্বংসযজ্ঞের পূর্বাভাস আবিষ্কারের  অদম্য কৌতূহল সঙ্গী করে।