অতিশয় গোপনে
অতীব যতনে,
আনমনে ভাবনা
করে যায় কামনা।


যত্নের ফুলদানী
ভেঙ্গেছে কবে জানি,
বিরহী সত্ত্বা
দেয়নি পাত্তা।


অভিনব ভঙ্গে
দ্রুততার সঙ্গে,
স্মৃতি নানা রঙ্গে
মেখে রয় অঙ্গে।


সাময়িক শান্তি
দূর করে ক্লান্তি,
কষ্ট চিরদিন
রয়ে যায় অমলিন।


অশালীন সঙ্গ
শিখিয়েছে রঙ্গ,
কামনার স্বপ্ন
হয়ে আছে মগ্ন।


লৌকিক পীপাসা
যুক্তি নিরাশা,
কেন্দ্রের গণ্ডী
পেতে রয় ফন্দী।


ভাবনায় মগ্ন
নিরাশায় রুগ্ন,
দৃষ্টির বর্ষা
করে যেন নিরাশা।


বর্ণীল আয়োজন
স্বপ্নিল নিবেদন,
মায়াবি দৃষ্টি
আবেগের সৃষ্টি।


নির্ভুল সত্য
ধোকা খায় নিত্য,
মিথ্যার গুঞ্জন
সত্যের ক্রন্দন।


লম্বা কালো হাত
ধ্বংসের সংঘাত,
দুর্নীতি গড়নে
নির্ভয় মরনে।


প্রতিভা তুচ্ছ
নাশকতা উচ্চ,
কর্মের অংশ
শান্তির ধংস।


অজুহাতে কারসাজি
ইচ্ছের ধোকাবাজি,
সময়ের ব্যবধান
নির্ঘুম অভিযান।


মানবতা পণ্ড
করজোড়ে ভণ্ড,
ধর্মের ওজুহাতে
লিপ্ত সংঘাতে।


তরুণের আত্মা
বিকৃত সত্ত্বা,
অভাবের ধর্ম
বাড়ে কুকর্ম।


প্রভাবের যাঁতাকল
ঘুরে যায় অবিকল,
বিবেকের বার্তা
নিপীড়িত জনতা।


পুণ্যের মাপকাঠি
নিলামে বেঁধে আঁটি,
ছলনার মায়াজাল
ধোঁকাবাজি অবিচল।


হৃদয়ের সংঘাত
হানা দেয় কালো রাত,
নারকীয় অভিশাপ
অন্তরে পোষে পাপ।


জাগতিক গুঞ্জন
আবেগের সন্ধান,
জৈবিক প্রয়োজন
করে দেয় নির্জন।


সুখ ভোলা পোড়া মন
জাগ্রত আজীবন,
সুখময় সেই রাত
ছেড়ে দেয় দুটি হাত।


কুকর্মে লিপ্ত
হয়ে অভিশপ্ত,
সন্ধানী চাহনি
নতুন এক ধরণী।


সয়েছে জ্বালাতন
তাঁর এই নিবেদন,
জেগে যাক ভক্তি
হয়ে যাবে মুক্তি।