যার কারনে হলে কবি, নাওয়া খাওয়া ছাড়লে সবি,
হয়েছে কি তাঁর আকাশে, কভু উদয় তোমার রবি?
যাকে নিয়ে জীবন যুদ্ধ, দেহ আত্মা অবরুদ্ধ,
কবে হবে তোমার ছোঁয়ায়, তাঁর প্রাণটা সমৃদ্ধ?


আতকে ওঠে বুকের মাঝে, পরান জুড়ে যার বিরাজে,
খুব উতলা হলো হৃদয়, মন বসেনা কোন কাজে।
সইছ এমন নিঠুর জ্বালা, আর সকলের অবহেলা,
তোমার আকাশ জুড়ে কভু, ভেসেছে তাঁর মেঘের ভেলা?


তাকে ছাড়া তুমি যদি, জীবন যে এক ব্যথার নদী,
বৈঠা বিহীন তরী হয়ে, ভাসো সেথায় নিরবধি।
চিন্তা জুড়ে আর চেতনায়, মোহিনী মাতাল কামনায়,
ইচ্ছে খুশীর ধারক বাহক, তোমায় হাসায় আবার কাঁদায়।


নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে ধরে, পরম যত্নে লালন করে,
প্রাণের চেয়ে আপন ভেবে রেখেছো অন্তরের ঘরে।
জমিয়ে রাখা সকল আশা, যার কারনে ভালোবাসা,
সে কি কভু চায় বুঝিতে, কাছে এসে মনের ভাষা?


যদি তোমার চোখের জলে, দুখের নদী বয়ে চলে,
মুখ ফিরিয়ে অভিমানে, সে যদি না কথা বলে।
তবু তারে ভালোবাসো, মিষ্টি করে মুচকি হাসো,
এমনি ভাবে স্বপ্ন জুড়ে প্রতি রাতে কাছে আসো।