ঘামে ভিজে ক্লান্ত দেহে, ঢলে পড়ি স্বপ্ন সুখে,
আঁকড়ে রাখে কেউ আমাকে, আলিঙ্গনে নিজের বুকে!
দেহ প্রাণের সঞ্জীবনী, দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শুনি,
ফিসফিসিয়ে কানের কাছে, আবেদনের প্রতিধ্বনি।


অন্ধ আবেগ ব্যপক মোহ, অন্তরাত্মার কি বিদ্রোহ,
চোখের নেশায় মনের জোরে, পরশ পাবার সে আগ্রহ!
সুপ্ত প্রাণের হিংস্র থাবা, শরীরতত্ত্বে নীরব বোবা,
একত্রিত কিসের নেশায়, এই অবেলায় বোঝে কে বা?


রাতের গভীরতার সাথে, মাতাল নেশার সে ক্লান্তিতে,
মূল্যহীন হয় কাছে আসা, খুব সামান্য ভুল ভ্রান্তিতে!
স্বর্গসুখের মোহে ছুটে, ইচ্ছেমতন নিতে লুটে,
আবার বুকে ঢলে পড়ি, তখন হাঁসি দেখি ঠোঁটে!


যে হাঁসিটা দেখবো বলে, এই পৃথিবী যাই গো ভুলে,
শিহরণে কাঁপে দেহ, কল্পনাতে দোলা দিলে!
দাও দোলা দাও অনন্তকাল, খানিক পরেই আসবে সকাল,
তার আগে যাক তৃষ্ণা মিটে, ঘোর নেশাতে রাত্রি মাতাল!


এমনি আসুক রাত্রি আবার, পরম সুখে ঘাম ঝরাবার,
দিনের পরিশ্রমের শেষে, ক্লান্তি ভরা স্বপ্ন বহর!
সমন্বিত পরম সুখে, সার্থকতার সে আলোকে,
আলোকিত হই দু জনে, আঁধার রাতের এই পুলকে!