ডালে বসে গান গেয়ে প্রাণ ভরে দেয়,
বিনিময়ে সে ডালেই বাসা বেঁধে রয়।
বৈশাখী ঝড় এসে ভেঙ্গে দেয় ঘর
ভরা নদী থেমে যায় জেগে ওঠে চর।


পাখীরা দল বেঁধে ওড়ে নীল আকাশে
যন্ত্রের এ নগরী বিষ ঢালে বাতাসে।
সাগরের জলরাশি কে বানায় বৃষ্টি,
লোনা হতে কিভাবে সে হয়ে ওঠে মিষ্টি?


পৌষের রাত শেষে দেখি ঘন কুয়াশা
পৃথিবীটা ঘুরছে নিয়ে কার ভরসা?
মেঘেদের ঘর্ষণে যে আলো শোভা পায়
সে আলোয় একদিন হবে রাত আলোময়।


চন্দ্রকে ধার দিয়ে খালি নয় সূর্য
শান্তির গনিতে কথা কয় ধৈর্য।
জোয়ারের টানে যদি এই কূল ভেঙ্গে যায়
ঐ কূল গড়ে দিতে নদী করে প্রত্যয়।


ভ্রমরের গুঞ্জন মধু ভরা ফুলেতে
যত্নে গাঁথা মালা পড়ে রয় ধুলোতে।
সারি সারি কালো মেঘ পৃথিবীকে ছায়া দেয়
বৃক্ষের প্রেমে পড়ে বৃষ্টি ঝরে যায়।


পাহাড়ের চূঁড়াতেও প্রাণ করে বসবাস
ঝরনার ধারাকে স্রোত করে উপহাস।
ঝরা পাতা ঝরে পড়ে হয়নি শেষ তাঁর
গলে পচে মিশে গিয়ে মাটি করে উর্বর।


রাত্রির কোলে শুয়ে বলে যায় সূর্য
এই তাপ বেঁচে তুমি গড়ো প্রাচূর্য।
হাওয়াদের আনাগোনা প্রাণটাকে দেয় বল
মৃতের দেহ যায় ছায়া থাকে অবিকল।


ফসলের গন্ধে প্রকৃতি মধুময়
কৃষকের কষ্টেই ধনীদের ভোজ হয়।
কৃষাণীর ঘামে ক্ষেত হয় পরিপুষ্ট
শান্তির আশ্রমে থাকে তাই তুষ্ট।


ধৈর্যের বুননে কষ্টের নৃত্য
প্রকৃতির চারিদিকে ধ্বংসের বৃত্ত।
শ্রাবণের ধারাতে ধোয় পরিশিষ্ট
সূর্যের খরতাপ তবু দেয় কষ্ট।


আকাশের বুক জুড়ে যন্ত্রের পসরা
বুক ভরা আশা নিয়ে তবু ওড়ে পাখীরা।
বঞ্চিত কেউ আজ কেউ পরিপূর্ণ
ধরণী হল যেন চূর্ণ-বিচূর্ণ।


ধ্বংসের বানে ভাষা সবুজ ইএ স্বর্গ
পরিপাটি করবার দায়ভার কার গো?
মুক্ত আকাশে পাখী আজ পরাধীন
অপলক চেয়ে থাকে হতে চায় সে স্বাধীন।