হেসে যাই প্রাণ খুলে অলি বসে ফুলে ফুলে,
মাঝি দেয় পাল তুলে ঢেউ ভেঙে পড়ে কূলে।
ঝরা পাতা ঝরে পড়ে কূল ভাঙে কূল গড়ে,
কালবৈশাখী ঝড়ে বক বুক পেতে ওড়ে।


পাখী নীড়ে ফিরে আসে খড়কুটো বানে ভাসে,
কূল জুড়ে ঢল আসে ভাটা নদী ভরে শেষে।
গরু রেখে গোয়ালে গোয়ালা বেখেয়ালে,
পাখী ধরা ফাঁদ পাতে ঝাউ বনের আড়ালে।


দিন যায় ক্ষণ যায় পাখী ডিমে তা দেয়,
তা দিয়ে ছানা হয় মা পাখী চেয়ে রয়।
বক ঠোঁটে ধরে পুঁটি শোল হেসে কুটিকুটি,
কনকনে ঠান্ডায় খোকার ইস্কুল ছুটি।


কালো মেঘ ভেসে এসে বৃষ্টি অবশেষে,
ঝোপে ব্যাঙ যায় ডেকে আষাঢ়কে ভালোবেসে।
গাছে গাছে ফুল ফোটে ভ্রমরেরা মধু লোটে,
সূর্যের পানে চেয়ে রাতে চাঁদ হেসে ওঠে।


ভোরে মাঠে যায় চাষি ফসলে ফোঁটায় হাসি,
শস্যের মৌ ঘ্রাণে সারা গাঁও যায় ভাসি।
রাজহাঁস ভাসে ঝিলে পেঁচা রাতে ডেকে চলে,
ময়ূরী পেখম মেলে স্বাধীনতা আছে বলে।