তুমি কখনো দুঃখ দেখোনি, সওনি যন্ত্রণা,
সবাই তোমাকে মমতা দিয়েছে, করেনি ভৎসনা।
ভুলেও নামেনি বৃষ্টি তোমার, ডাগর চোখের কোনে,
পাবার শান্তি ভোগ করেছো, নিভৃতে আনমনে।


ভেবেও দেখোনি ওই ঝরনা, কোন সে কষ্টে কাঁদে,
কত মমতায় নদী তাহারে, আপন বক্ষে বাঁধে।
মেঘ কেঁদেছে আপন কষ্টে, ভরেছে সাগর নদী,
মৃত্তিকা ফেঁটেছে প্রখর তাপে, দেখতে ভেবে যদি।


হাজার সুখেও বুঝতে তবে, দুঃখ কাকে বলে,
সূর্য হতে ধার করে চাঁদ, জ্যোৎস্না বিলিয়ে চলে।
ভরা পূর্ণিমার ঝকমকে চাঁদ, তাতেও রয়েছে দাগ,
কোনো মানবের ভাগ্যে জোটেনি, আনন্দ শতভাগ।


আঁকাবাঁকা এই জীবনের পথে, কষ্ট রয়েছে বলে,
ক্ষুদ্র সুখের ছোয়া পেয়ে সে, দিব্যি বয়ে চলে।
পথপানে চেয়ে সারাটা জীবন, কেউ করে দেয় পার,
সুখের আশায় ধুকে ধুকে মরে, অবশেষে পরপার!


সার্থকতার পরশ পেয়েছো, মেখেছো চাঁদের আলো,
ভেবেও দেখোনি কতটা আঁধার, আমাবশ্যার কালো।
হয়তো কাউকে কাঁদতে দেখেছো, দিয়েছো শান্তনা,
অনুভব করতে পারোনি যে তার, হৃদয়ে কি যন্ত্রণা!


সোনার চামচ মুখেতে নিয়ে, এসেছিলে এই ভবে,
ফুলের টোকা লাগলেও তোমার, অনেক কষ্ট হবে।
চোখের জলে কত কথা বলে, ঝরে অঝরে ঝরে!
সুখের প্রাসাদে থেকে সে কষ্ট, বুঝবে কেমন করে?