জেগে উঠে আজ বক্ষ-তলে
শত স্মৃতি, বেদনার ছায়া,
ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে
দেখ অস্ফুট দীর্ঘ কাঁয়া।
যা না হবার ছিল তা-
দরজায় কড়া নাড়ে,
ভাবনার জালে আঘাত হেনে
ঘুম নিয়ে গেল কেড়ে।
স্মৃতিগুলো আজ সামনে এসে
পথ আটকে দাড়ায়,
টলমল চোখে আমায় ফেরাতে
ধরে-সজোড়ে জড়ায়।
বিচ্ছেদে কেন এত বেদনা;
খুঁজে ফিরি দ্বারে দ্বারে,
বুঝিতে না পারি, কি করিয়া?
পুঁছিব যে কারে?
ভবপারে বুঝি নেই কিছু আর;
এর চেয়ে বেদনার,
দয়াময় প্রভূ, রহিম-রহমান এ
তোমার কেমন বিচার?


কি করিয়া বল ভুলিব  তাঁহারে,
যার সদৃশ কেহ নাই,
স্মরি গো যখন সেই স্নেহ-সুখ
সব যেন ভুলে যাই।
রূহানী পিতা নাম কেন তাঁরে
দিয়াছ প্রভু দয়াময়;
তাঁরে দেখে মোর এ-
কথার মানে বোধগম্য হয়।


বড় ভাই, প্রভু,দিয়াছিলা যারে
ছিলাম তাঁর জিম্মায়,
কেন জানি আজ সারাক্ষন শুধু
তাঁহারেই মনে হয়।


দাদুর মতন স্ব-স্নেহে মোরে
দেখিত যে সারাক্ষন;
হোচট খাই আমি, ভেবে সে কথা
হারাই আপন মন।


পেরেছি কি দিতে বেয়াদবি হীনা
এমন কোন আচরণ!
যার বিনিময় তাঁহাদের তরে
যায় দোয়া মাঙন।
পাইনি খুঁজে একটিও এমন;
আসেনি তো ভাবনায়,
ভাবি শুধু বসে, এহেন হালে
কি করা যায়?


সবশেষে বলি তোমার তরে
আমি নালায়েক,গুনাহগার,
পরপারে তুমি দয়া করে প্রভু
তাঁদেরে করিও পার।


রচনাঃ ২১/০৪/২০১৪ ইং
(আমাদের ছাত্রাবাস ছেড়ে দেওয়ার সময় লেখা)