তোরা কেউ আমার গায়ে কাদা মেখে দে-রে;
সারা গায়ের কাদা দেখে মা আসবেন তেড়ে।


কাঁচা কঞ্চির ঘা বসিয়ে গায়ে-
গালি দিয়ে বলবে আমার মায়ে
ওরে বাঁদর, এই কেন হাল, কোথায় ছিলি তুই?
আষাঢ় গাদরে চাষ দিয়ে বুঝি পাঁক করেছিস ভুঁই।
আজ তোরে শিক্ষা দিবো শুধুই মেরে-মেরে।
(ওরে-তোরা কেউ আমার গায়ে কাদা মেখে দে-রে।)


উহ-আহ! আর হাতে পায়ে ধরে
মারিস না ওরে মা গেলাম মরে;
মিনতি করে বলিতাম,- মা এবার কর ক্ষমা;
অশ্রু জলে বুকে জড়িয়ে দু’গালে দিয়ে চুমা-
আদর করে বলতো ডেকে আমার সোনা ওরে।
(ওরে-তোরা কেউ আমার গায়ে কাদা মেখে দে-রে।)


পুকুর ঘাটে ঘষে-ঘষে গা ধুয়ে
খাবার খাওয়াত মা কোলে নিয়ে;
মুঠি-মুঠি ভাত, সালুনে মেখে মুখে দিতো তুলে;
জননীর আদরে হৃদয় নাচিত দোলে-দোলে-
আর মাকে বলতাম- মা ভালবাসি খুব তোরে।
(ওরে-তোরা কেউ আমার গায়ে কাদা মেখে দে-রে।)


কত দিন হয় মা আসেনা পাশে
স্মৃতিমাখা সেই সাজা চোখে ভাসে;
বুঝেছি, কাদা মাখিলে যদি মাকে কাছে পাই;
গায়ে দে কাদা মেখে, ওরে ও সোনা ভাই-
মায়ের স্বর্গীয় সাজা যেন আবার পাই ফিরে।
(ওরে-তোরা কেউ আমার গায়ে কাদা মেখে দে-রে।)