মোর নয়ন হারি তোর রূপে হে বঙ্গ-জননী;
কি শোভা মেখেছিস তোর গায়ে।
যতই দেখি মা তোরে, বাহারি রূপের রমণী
যেদিকে চোখ যায় হাঁটি পায়ে।


ছন্দের-তালে অঙ্গে ঢেলেছে কাব্য-সুধা নিয়ত
পান করি সবার জাগে প্রীতি;
তাইতো রচি মোরা পদ্য-কবিতায় সদা-ব্রত
তোরই অপরূপ দেশাত্ম-গীতি।


পল্লী-ভাটিয়ালী-ভাওয়াইয়া কত জনা গাহে
পথে-প্রান্তরে বাজাইয়া বাঁশি;
কত জনা ছন্দে নৃত্য তুলি কৃপা-দৃষ্টিতে চাহে
আর হাসে মিষ্টি মধুর হাসি।


তোর চরণে সঁপিলাম মোর কাঁচা-হস্তে রচি
বেসুরে তাল-লয়হীন ছন্দ।
যদি-গো ঠাঁই দিস মা তোর হৃদে, আমিতো কচি
তুই মা বলিস না আমি মন্দ।