চাঁদনি রাতের মিঠে আলো
খুব ভালো লাগে ভালো;
          আঁধারে ঘেরা ধরণীতে যবে
          না থাকে কোন আলো।


বিদঘুটে আঁধারে ভয়ের শামিয়ানা
জাগায় মনে শঙ্কা;
          ক্ষীণ প্রভার জ্যোতিরিঙ্গণ তবে
          সগর্ভে বাজায় ডঙ্কা।


মাটির প্রদীপ, কেরোসিন শিখা
জ্বালিয়ে শত বাতি;
          প্রখর আলোর সন্ধানে তবু
          খোঁজে ফিরি সারা রাতি।


হেনকালে যদি খাতক চাঁদ
দূর করে তমস-কালো;
          নিশুতি রাতের গগনে জুড়ায়
          পূর্ণিমার ভরা আলো।


দিয়ে সাধুবাদ মুগ্ধ হয়ে ডাকি
তারে ওগো প্রিয়া;
          বিপদে মোদের রেখেছো নির্ভীক
          নিজ প্রভা দিয়া।


উদয়-অস্তে তিথিতে কলায়
তারে দেই মহা-সম্মান;
          কখনো ভেবেছি কি, তার মহত্ব
          কে করেছে দান?


অন্ত:দহনে যে ভাষ্কর
দিবা আলোতে ভরাল ভুবন;
          দিবাতে তার তুখোড়তা-কে
          বলি কি কভু শোভন?


ধার করা আলোয় চাঁদনী হেসে
নিজে সাজে মহাজন;
          রবি জ্বলে-পুড়ে হয়ে কঠোর
          পরেরে করে অনুরঞ্জন।