সুবোধ দাও হে বিশ্বপতি এই অসত্ চরাচরে,
মনের পশুরে কর দূর, মনুষত্ব্যে দাও ভরে।
দিনে-দিনে বাড়ালে বোঝা অমানুষের দল;
ন্যায়কে অন্যায়, সত্যকে মিথ্যা বলে অনর্গল।


চাই সবে শান্তি নিজের জন্য, পরের জন্য নয়;
পরেরে মারিয়া নিজে বাঁচিতে হয়েছো নির্দয়।
তবে যদি হই মানুষ, মানবিকতা আছে কই?
হিংস্র পশুর স্বভাবে পাশবিকতারে নিয়ে বই।


দূর্বল রয় ত্রাসে, সবলের ভয়-ভীতি হুংকারে
ন্যায়পতি করে অন্যায়, মজদূর ঘোরে দ্বারে।
নরের লালসায় নারী প্রকম্পিত কাঁপে থরথর
অবুঝ শিশুও বাদ যায়না, হায়েনা করে ভর।


স্বার্থের লাগি আপন কাঁদায়, পরেরে নিয়ে বুকে
সুখ খুঁজে গণিকালয়ে, রমণী কাঁদে পতি শোকে।
সন্তান মরে মাতার হাতে, পিতারে মারে পুতে;
মমতার বদলে বর্বর হলো দুঃসহ কালের স্রোতে।


ধর্মের খোলসে অধর্মের প্রসার চলছে নির্ভয়ে
মসজিদ-মন্দিরেও উপাসক হত্যা হচ্ছে নির্দয়ে।
ধর্ম-বিদ্বেষী ধর্মের আড়ালে ভাঙে ধর্ম-বিধি;
ধর্মে বাড়ে মানবতা, দূর করে সামাজিক ব্যাধি।


আধুনিকতা ভেবে সভ্যতার নামে হয়ে ক্রমে নগ্ন
মনুষত্ব দূরে ঠেলে পশুত্বের কর্মে হয়েছি সদামগ্ন।
মানুষ যদি পশু হয়, তবে পশু কি হবে মানুষ?
স্বভাবই যদি পাল্টে যায়, তো কারে দিবে দোষ?


ধর্মের আগুনে পোড়ায়ে হৃদয় পশুরে করলে বদ
তবেই পাশবিকতা বন্ধ হবে, হবে অনিয়ম রদ।