ভেবেছিনু লিখবো তোমাকে নিয়ে-
লিখতে বসেছি কিন্তু স্মৃতিভ্রম ঘটে ক্ষণিকেই।
যখই চিন্তা করি, ভাবি, নাজানি কত ছিল মনে।
হায়, একি মোর ভালে?
বঞ্চিত হই অনাগত ভাব হতে।
ভেবেছিনু নিশি দ্বিপ্রহরে, বারে বারে অন্তরে
গেঁথেছিনু রবে কিনা মনে আহা ঠিক সেই ক্ষণে
কি জটিল সমীকরণে সাজিয়ে ছিলাম থরে থরে।


ছিলনা কলম, না ছিল খাতা,
মনের বিছানো জমিনে
চষেছি ভাল করে, তুলো ধুনো করে পুম দিয়েছি
তোমার দেহ বল্লবের রঙ্গ-রসের উপত্যকায়
খোয়াবের বিচিত্র বাগে পাওয়া বীজ বুনেছি।
উৎফুল্ল হয়ে বাহবা দিয়েছি,
আহা কত মজার কাব্য রচিব তোমায় লয়ে!
কোথায় তোমার কাব্যগাঁথা?
কেন আসেনা মনে?


স্মৃতির জমিনে নেই কোন ফসল,
চৈত্রের খড়তায়, প্রচন্ড তাপদাহ,
জ্বলে-পুড়ে তামাটে হয়েছে।
শত-কুটি কর্ষণেও অঙ্কুরিত কি হবে না-
একটি খোয়োবের প্রাপ্ত বীজ?
এভাবেই কি নিঃশেষ হয়ে যাবে একটি স্বপ্ন?
একটি আশা!
ছোট্ট একটি ভালবাসা!


রচনা-১৮/১২/১৫ ইং
বিকাল ৩-০০টা