মনা পাগলা হেসেই খুন, বিদ্রূপের হাসি
ধর্ম কি সংস্কার হয়, কখনো হয় বাসি?
চৌম্বকত্ব চুম্বক ধর্ম উত্তর দক্ষিণ হয় মুখী
লৌহ-দণ্ড আকর্ষণে সর্বদা হয় পরম সুখী।
উত্তর মেরু উত্তর দিকে দক্ষিণ মেরু দক্ষিণ
কেন বাপু হও না এক, সম-মেরুতে সম্মুখীন?
কেও যদি আরও বলে, স্বর্ণ কেন নেয় না ধরে
লোহার মূল্য অতি অল্প, স্বর্ণে দাও ঘর ভরে।


ধর্ম কি ইচ্ছায় চলে, যার সুবিধা তার নিজের
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্ট সুবিধা কি মানুষের?
শুধু শুধু ভাঁওতাবাজি, ধর্মের নামে ব্যবসা করে
এমন বাক্য যতই হাঁকাও ধর্ম কি বাতাসে নড়ে।
যার ধর্ম সেই বুঝে মূল্য কি তার পালনে-
অন্যের প্ররোচনায় ধর্ম পাল্টে ক্ষণে ক্ষণে?
কেউ মানে আল্লাহে, কেউ মানে ভগবান
কেউ ডাকে ঈশ্বরে, কেউ মানে না কারো দান।
আস্তিক যারা নিত্য ডাকে সৃষ্টির স্রষ্টারে
নাস্তিকেরা লুটোপুটি খায়, বলে জ্ঞান-ভ্রষ্টারে!


মনা পাগলা এবার কাঁদে, কেঁদে কেঁদে হেঁচকি খায়
নাস্তিকেরা জ্ঞান-পাপী, না মানলে কি আসে যায়?
বেশী বেশী জানলে মানুষ বেশী হয় বিজ্ঞ
বিশেষ বিষয়ে বেশী জানলে কয় বিশেষজ্ঞ!
অজ্ঞ যদি মূর্খ হয় বিশেষ-অজ্ঞ তবে কি?
বেশী জ্ঞানের দাবীতে মহা-অজ্ঞে ভাবে কি?
বাস্তবতায় বাস্তববাদী দু’নয়নে দেখে সব
যা হবে প্রমাণিত তাই নিয়ে করে রব।
অশরীরী অবাস্তব আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস নাই
খাও দাও ফুর্তি কর, সামনে আছে যা পাই।


মনা বলে- ওরে পাগলা, বড় পাগল তোরা
ত্রি-নয়নে দেখলে তবে বুঝের পাবি ধরা।
দু’নয়নে বাস্তব দেখি আরেক নয়ন অন্তরে
দেখে-শুনে বিচার কর ধর্মের যত মন্ত্ররে।


রচনাকাল- ২০/১২/১৫ইং
বিকাল ৩:০০টা