সবুজ-সবুজ ঘন সবুজে বাংলা মায়ের শাড়ি-
সবুজ জমিনে লাল পাড়ে উদার হৃদয়ের নারী!
তোমার সম্মান রাখতে যারা রক্তে বিজায় পাড়
সেই বীর সেনাদের ভূলে যাবার এত হিম্মত কার?
কপালে তোমার লাল টিপ দেখতে ঊষার থালা-
ত্যাজি আভা ছড়িয়ে পড়ে তোমার গায়ের জ্বালা!
বাংলাদেশের কত চিত্র, মা'য়ে কত রূপ যে ধরে
সোনার অঙ্গে বার মাসে, ছয় রঙের শাড়ি পড়ে!


বৈশাখ-জৈষ্ঠ গৃষ্মের তাপে গা’য় জুড়াতে গোসল
ঈশান কোণের শাড়ি তো’র কৃষ্ণ মেঘের আঁচল!
আষাঢ়-শ্রাবনে অবিরাম বর্ষে যৌবন টলমল করে
কোমর জলে ডোবান শাড়িতে শ্যাওলা রঙে ভরে!
ভাদ্র-আশ্বিনে শরৎ কাল, নীল আকাশে সাদা রং
খন্ডিত মেঘে কাঁশফুল বিছানো, শাড়িতে কত ঢং!
কার্তৃক-অগ্রহায়ন হেমন্তকাল বাংলা মায়ের পরাণ
নতুন ধানের মৌ-মৌ ‘বাসে নতুন শাড়ি গড়ান!


পৌষ-মাঘে শীতে বাংলা, নানা স্বাদের পিঠা খায়
হলদে ছাপা শাড়িতে, কুয়াশার কাঁথা জড়িয়ে গায়!
ফুলে ফুলে ভরে যখন চারদিক ছড়ায় মিষ্টি ঘ্রাণ
ফা’গুন-চৈতের বাসন্তিতে ভরে উঠে মায়ের প্রাণ!
যতই দেখি বাংলার রূপে, শাড়িতে মানায় ভারি
বাংলা আমার মায়ের মতন, পড়ে নানান শাড়ি!


রচনা কাল-০২/০১/১৬ ইং।
সন্ধে-৭:০০টা।