শীত, হিম শীতল বাতাস, শরীর কুলোয়-না
পরনের বস্ত্র খানা ছিঁড়েছে অনেক আগেই-
গরম পশমি কাপড় পাবে কোথায় আব্দুল?
দু’বেলা অন্নের সংস্থানে কাটে সারাক্ষণ
সূর্য যেটুকু উত্তাপ দেয়, যেন আর্কটিক
তা'তেও বঞ্চিত, উপচিয়ে আসে যতটুকু-
আহা কি মিষ্টি উত্তাপ!
পৌষের সকাল গড়ায়, এ বাড়ী ও বাড়ী
ব্যক্তি হতে ব্যক্তি, ঘুরে ধারে ধারে;
বেলা শেষে যা জুটে, উদর পুরে না তাতে!
শরীরের তাকত আগের মতো নেই
পা টলে, হস্তখানি ভাইব্রেটর মেশিন
চোখের পর্দায় লেপটে আছে ধোঁয়াশা-
রাস্তা দেখলে মনে হয় আচ্ছন্ন কুয়াশা
যেন চোখে লাগানো ঘসা কাঁচের চশমা!
শরীরের ত্বক-পৃষ্টে ভূমিকম্পের ফাটল-
আঘাত হেনেছে রিক্টার-স্কেলে ৮ মাত্রায়!
সেখানে গড়াই নি একফোঁটা তেল
গোসল হয়নি শীতের দু’টি রুক্ষ মাস!
ঠাণ্ডা জলে চিন-চিন শিহরায়ে উঠে শরীর
গায়ে বোটকা-পচা কর্কশ গন্ধ!
পাটের গোছার মতো মাথায় জটলা চুল
সুন্দর বনের গহিন অরণ্য, নিরেট আঁধার-
বাস করে রয়েল বেঙ্গল, আরও কত কি-
শুষে-শুষে খায়, লোনা-জলে মিশ্রিত রক্ত!
আব্দুল মিচকে হাসে, আর ভাবে-
জীবনে আর কিছু না-হোক
কয়েকটি বাঘ পুষে গেলাম!