কিসের আস্তিক, কিসের নাস্তিক, কিসের ধর্ম ভাই?
সবার আগে মানুষের জীবন,           মনুষ্যত্বের বিজয় চাই!
          আস্তিক-নাস্তিক ধ্বজা ধরে বিভেদ কর যত-
যে আস্তিক সৃষ্টিকর্তায় মোহিত হবে, নাস্তিকের না হবে মাথা নত!


          মুসলিম তুমি, খৃষ্ট-সন্তান, সনাতনী যেই হও-
একের তরে অন্যের ধর্মের করোনা অসম্মান, কেউ কারো ছোট নও
          ধরায় এসেছ গর্ব করে আপন জাহির যতই কর-
মনুষ্য বিশ্বাস সৃষ্ট হলে একদা, তা ভাঙিতে স্বেচ্ছায় কেন মর?


          যার বিশ্বাস তার কাছে পর্বত-তুল্য সম-
বিস্ফোরক ফোটন ঘটায়ে কর ত্রস্ত, ঈমানই মুসলিম নাহি বলবে নম:
          সনাতন বল, খৃস্ট-বৌদ্ধ কেউ কারো ছোট নয়-
নিজ ধর্ম বিশ্বাসে ছেদ নাহি দিবে পড়তে, হতে দিবে না কোন ক্ষয়!


          ঈমানই শক্তি রুহ-এ ধারণ কর, বলি সত্যবাদী কেও-
অন্যের বিশ্বাসে না হানিবে ধ্বংস, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বাস্তববাদী সেও!
          বিশ্বচরাচরে যত মন-মানুষের দেখা পাও-
মিলিয়ে বল জ্ঞানী-মান, একের সাথে অন্যের মিল কি আছে দেখাও!


          জুলুম নিক্ষেপ করে ঘায়েল নাহি হয় অন্যে
সমঝোতায় সদ্ভাব সৃষ্টি যদি হয়, ঈশ্বরের শান্তি বিঘ্নিত হবে কি জন্যে?
          অধর্মের চেয়ে ধর্ম ভাল, নাস্তিকের চেয়ে আস্তিক
যদি মানব জাতির কল্যাণে পৃথিবী হয় শান্তিময়, অশুদ্ধ নয় শাস্ত্রিক!


          হিংসা-বিদ্বেষ পরম শত্রু সৃষ্ট জাতিভেদে-
সুন্দর ধরণী আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, কীভাবে শান্ত হবে নিভৃতে কেঁদে।
          শুন হে মানুষ, শুন পথ ভ্রষ্ট আদমের সন্তান-
সর্বজীবের ধরা কেন ধ্বংস? এখনই চিন্তা কর, কীভাবে পাবে পরিত্রাণ!