এক-দুই-তিন করে-করে আজ পঞ্চাশে পা! সেই ৫০ দিন আগে এসেছিলাম নেহায়েত শখের বশে, অবশ্য এর পিছনে আমার এক শুভাকাঙ্ক্ষীর আহ্বান ছিল । ফেসবুকে মাঝে-মাঝে দু'একটা কবিতা অথবা প্রতিবেদন লিখতাম। এর আগে যা লিখেছি তা সময়ের অতলে হারিয়ে ফেলেছি। কখনো ভাবিনি এক সময় এত গুণী কবিদের সঙ্গে কবিতা লিখে পাতায় প্রকাশ করতে পারবো। তাই প্রথমে বাংলা কবিতা ডট কম কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, সাথে সম্মানিত এডমিন, কলাকুশলী, সর্বোপরি আমার প্রাণপ্রিয় কবি-বন্ধুদের,- যারা সবসময় আমার পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে ভুলত্রুটি শুধরিয়ে আপন করে নিয়েছেন। এই সাইটে সবচেয়ে ভাল লেগেছে যে, যেকেউ লেখা প্রকাশের সুযোগ পেয়ে থাকে বিনা বাধায়। তার চেয়ে আরও ভাল সুধী কবিবৃন্দ, যারা নতুনদের সহজেই বরণ করে নেয়।
      প্রত্যেক ভাল কিছুর মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ছোটখাটো এ সমস্যা আমরা সহজেই এড়িয়ে যেতে পারি। কবির হাঁটে সব কবিতা সমান তালে বিকি-কিনি হয় না। গুণগত মানে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আসল কথা মনের আবেগ কাব্যিক প্রকাশ করে উপভোগ্য করে তোলা। সকল প্রকারের খাবার যেমন একজন মানুষের ভাল না লাগতে পারে, আবার একই খাদ্য সবার পছন্দের নাও হতে পারে। কিন্তু প্রত্যেক পদের খাবারের আলাদা আলাদা স্বাদ ও পছন্দের লোক থাকে। দেহের খাবারের যেমন বৈচিত্র্য আছে মনের খাবারের তেমনি ভিন্নতা থাকে। মনকে নাড়া দিতে কার কবিতা কতটা কার্যকরী তার উপরই কবির মূল্যায়ন হয়। পাতায় পোষ্ট করা কবিতার মন্তব্যের সংখ্যা দিয়ে এ মান নির্ণয় হয় না।
      সর্বোপরি আমাদের মতো নতুন দের (পাতায় নতুন আগমন) উৎসাহ দিয়ে ত্রুটি শুধরিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করি। এভাবেই একদিন বাংলা সাহিত্য-ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।