নাম ছিল তার জোয়াত পাগলা
                      গাছে উঠতো উলটা!
এলাকাতে ডাক পরতো যে
                  পাড়তে নানান ফল টা।
চিকন-মোটা, লম্বা-খাটো
                    সব গাছেতেই উঠতো
পা-দুটো উপরে তুলে
                      ঊর্ধ্ব-পানে ছুটতো।


কি মজার জোয়াত পাগলা
                         হাসি হাসি মুখটা
কথায় কথায় শোলক বলে
                       কবি ছিল লোকটা।
বলতাম যদি চারণ কবি-
                তোমার নামের অর্থ কী?
বলতো হেসে ভাবটি নিয়ে-
                 মিঠাই খাওয়াও জলদি।


জোয়াত পাগলার ছন্দের তালে
                        আমি হতাম মুগ্ধ!
ভাবতাম একদিন কবি হবো
                         চিনবে দেশ সুদ্ধ।
লিখতাম বসে কত কিছু
                         ছন্দের নাই মিল
মিথ্যা কবি হয়ে তখন
                     মাথায় পড়তো ঢিল!


রেগে বলি- মূর্খ পাগল
                   ছন্দ কেমনে জানতো?
প্রকৃতি তার শিক্ষা গুরু-
                    অন্তরে তার হানতো।