(ধৈর্যের বাঁধ যাতে না ভাঙে তার জন্য খন্ডিত এবং সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশিত হল। তাড়াতাড়ি লিখাতে ভুলত্রুটি শোধনযোগ্য।)


মরুভূমিতে ধান ফলাবে, সাগর হবে পাহাড় চূড়;
প্রকৃতিরে বাঁধ দিয়ে পানির অভাব করতে দূর।
বর্ষা ধেয়ে প্রবল বৃষ্টি নদী ডুবে পাহাড় তল;
রাম-রাম বাঁচাও এবার, পানি ছাড় কল-কল!
বাঁধের পরে পানির তোড়ে ভাঙে বাড়ি গাছপালা-
ভাসে গরু, মরে ছাগল, বন্যপ্রাণীর বেতালা;
ভাঁটির দেশ ভেসে গেল বাড়ি-ঘর চৌচালা।
মস্ত-বড় ঐরাবত-ও আটকা পড়ে তালকানা;
দলেদলে পার হতে চায় স্রোতস্বিনী একটানা।


তাকত যাদের শক্তিবেশী পার হয়ে যায় ওপারে,
দুর্বল যত বোকার মতো স্রোতে ঠেলে নেয় তারে।
ভাসতে ভাসতে দেশান্তরী, বনের পশুর নেই সীমা;
রৌমারীতে আটকে কিছু একটির ভাগ্যে নেই থামা।
সঙ্গ ছাড়া হয়ে একা দিকবিদিক ছুটতে চায়-
উথাল-পাথাল যমুনার জল, তার কি আর তলা পায়?
গাইবান্ধা-সিরাজগঞ্জ-বগুড়া ঘুরে জামালপুর
ভেসে ভেসে কয়রা এসে হয়ে যায় বাহাদুর!


বাহাদুরের বাহাদুরি ফসলের ক্ষেত-বাড়িঘরে
তছনছ করল শত বানে ভাসা গরীবের ‘পরে।
ছুটল হাতি হারায়ে সাথী ক্ষোভ যত ক্ষুদ্রকায়-
এ গ্রাম ছেড়ে ও পাড়াতে, ভয় দেখায় ফসল খায়।
কানাকানি জানাজানি বনের হাতি এলো গাঁয়
সংবাদ খানা ছড়ায় দ্রুত মুঠোফোনের বদান্যতায়।
বানে ভাসা রাস্তা-ঘাট যোগাযোগের পথ নেই
পল্লী-গাঁয়ে সংবাদ কর্মী জাঁকে-জাঁকে আসছেই।
লাইভ কাষ্ট, অনলাইনে ছড়ায় খবর বিশ্বময়;
এ যে সেই হাতি নয়; দাদা বাবুদের নিশ্চয়!
দিকে-দিকে উঠছে রব বাঁচাও হাতি মেহমান
সসম্মানে ফেরৎ দিলে বাঁচে দেশ ও জাতির মান।
ছুটল গাড়ি ঢাকা ছাড়ি যেতে হবে সরিষাবাড়ি;
বনবিভাগের বড়কর্তা ছুটে এলো তাড়াতাড়ি।


স্পিডবোডের ঢেউয়ের ধাক্কায় খসে পড়ে কুঁড়েঘর;
বন্যার্ত ডুবে মরে, আপন দেশের সবাই পর।
উদরে দোজখ জ্বলে তবু পরের মেহমানদারী;
সেই তো প্রকৃত বাঙালী ছেড়ে দিলে আপন বাড়ী।
আদার বাড়ী, হাঁদার ঘাট, কেটে আন কলাগাছ;
হাতি বাঁচাও আদর কর, ফেলে দাও সকল কাজ!
বন কর্মীরা সেজে এলো, হাতি পাঠাও মেঘালয়-
বেঁধে তারে গাড়ী ভরে; তবুও যে মরণের ভয়।


(চলবে........আগামীকাল শেষাংশ)