বিজ্ঞানী! তুমি সম্বুদ্ধ, উদ্ভাবনী চেতনায় সমৃদ্ধ;
প্রকৃতির প্রতিকূলতায় হও প্রতিনিয়ত প্রতিরুদ্ধ।
সাগর সেচে আন মানিক, আকাশ ফুঁড়ে জ্যোতি-
পাতাল ফুঁড়ে তোল তেল, সভ্যতার আন খ্যাতি।


বিজ্ঞানী! বিমান বানাও, রোবট বানাও;
এমন একটা যন্ত্র বানাও, প্রকৃতি বশ মানাও।
সভ্যতার আলো জ্বালাও সৃষ্টির নিত্য অবদানে-
নতুন কিছু সৃষ্টি কর, সাহস জোগাও আপ্রাণে।


ভূমিকম্পের আতংকে সুখ-বিলাসী ঘর ছাড়া;
নিমিষেই ধ্বংস স্তূপে অগণিত স্বজন হারা।
সুখ-জৌলুসের মাঝেও ভেঙে পড়ে অট্টালিকা-
বাবা-মা প্রিয় সন্তান, আরও বিচ্ছেদ রাধিকা।


বিজ্ঞানী! একটা কিছু কর, বুদ্ধি দিয়ে লড়;
শ্রেষ্ঠ জীবের খেতাব নিয়ে কেন অসহায় মর?
ভূ-আলোড়নের সংকেত যদি কিছু প্রাণী পায়-
জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিশ্বজয়ী মানুষ কেন অসহায়?


বিজ্ঞানী! চাপে-তাপে-শব্দে আরও অভিকর্ষে-
ভূ-অভ্যন্তরে টেক্টোনিক স্তরের চলন সংঘর্ষে;
চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিভব পার্থক্যে পড়ে প্রভাব।
সংঘটন পূর্ব মহায়োজনে পূর্বাভাসের অভাব?


চার-সংবেদ্যের সম্মিলনে জল-রোধকে গভীরে-
লৌহকূপ স্থাপন করে সংযুক্তি দাও উষ্ণ-নীরে।
ফল্ট-মূল কেন্দ্র করে দেশময় দাও ছড়িয়ে-
প্রধান কেন্দ্রের উপাত্তে পূর্বাভাস দাও এগিয়ে।


(কবিতাটি শুধু আমার ভাবনা; কল্পনা । কল্পনা কখনো কখনো হাস্যকর হয় বটে!)