দিবাকর রাহুগ্রাসে অন্তরীণ-
নীলাম্বর আবরিত কালিমা আভায়;
বৃক্ষপত্র অর্ধমেলিত নিদ্রায় আসীন
নিস্তব্ধ বিহঙ্গ কূজনে দিব্য আশঙ্কায়।


মধ্যদিবায় প্রসারিত তমঃচ্ছায়
আতঙ্কে ছুটাছুটি পশু-পক্ষীদল !
অজানা শঙ্কায় মানব হৃদয়-
নাজানি কি ঘটে, নয়নে ঝরে জল।


এমন-ই ভাবাতুর ভাবনায় সবেব্যস্ত;
কাটাতে নিশা, নিদ ভাঙে অন্তপুরে !
মাতৃউদরে নিদ্রিত তোমার অস্তিত্ব,
জানান দিলে আগমনী বারতা বিশ্বজুড়ে।


হটে যাও দিবা তমঃ, কেটে উঠ রবি-
নবদিগন্তের জ্যোতির্ময় আলো ছড়িয়ে;
তোমার আগমনে পশ্চাতে ফেলে সবই
প্রস্ফুটিত কুসুমে সুগন্ধ দেয় ভরিয়ে।


এমন-ই শুভক্ষণে জন্মিত পূত্রধন-
অন্তস্থলের নিঃসৃত দোয়া করি গো জনম;
শতবর্ষী কর্মপরিধি করিবে সাধন-
বংশ-পরম্পরায় ত্যজোময় মননে পরম।


(একমাত্র পূত্রসন্তানের ২১তম জন্মদিনের স্মৃতিস্মারক।)