শুঁয়ো পোকার দেহান্তরে লুকিয়ে প্রজাপতি
অনুভবে জানেনি-কো অদৃষ্ট প্রসন্ন অতি।
কদাকার লোমশ-কীটের রূপটি ভয়ংকর
বুঝতো সে তা নিজেই যদি ঘুণাক্ষরে রতি।


দুর্দৈব বাঁচাতে জীবন বিষ-লোমে গা’ভর
পর-ধাপে পাড়ি দিলেই অতীত হয় পর।
বাহারি-ডানা মেলে ষট্পদী পতঙ্গ উড়ে
ফুল বনের ডালে-ডালে দেখতে মনোহর।


অণ্ড ফুটিয়া শুঁয়ো আহারে পল্লব মুড়ে
জীবদ্দশায় চারি-দশা জীবনচক্র ঘুরে।
বৈচিত্র্যময় রূপান্তরে আত্ম-লব্ধ ভাবনা
ভেবেছিল কেমন করে কাটবে সুরে-সুরে?


কুলোদ্ভব পরম্পরায় প্রাণের আরাধনা
দেহ হতে দেহান্তরে ধারণের সংবেদনা;
বিদেহী স্বরূপে ক্রিয়াশীল করে অধিপতি
অনন্তকাল পরমাত্মার হয় সংবর্ধনা।