তুমি কি দেখেছ আঁধার রাতের রূপ?
তবে হ্যাঁ, আঁধারেরও আছে রূপ।
দেখবে নিকষ রাতে ভাবালু মনে দিলে ডুব।
অমানিশা রাতে দিগন্ত জোড়া-মাঠে-
কিম্বা, বন-বাদাড়ের জোনাকী বিহীন
সরু পথে, যেথা শৃগাল ডেকে উঠে।


পাশ ফিরে ডানা-ঝাপটায় ঘুমন্ত বনমোরগ-পক্ষী;
হঠাৎ কোঁকিয়ে উঠে শকুন-শিশু কিম্বা পেঁচা-লক্ষ্মী।
দু’চোখের পত্র সুপ্রসারিত তবু মনে হয় বন্ধ;
চোখের মণি বিশাল বনি, তবু যেন অন্ধ।
ঝিঁঝি পোকার কর্কশ ডাক কর্ণকুহরে বিঁধে;
আকাশের তারা ছুটে আসে চোখে, যেন স্বপ্ন দেখি নিদে।


গহিন আঁধারে-তমঃ-শ্রী খোঁজে দেখ-
আবছায় তারও যে রূপ ফোটে উঠে রেখ;
এমন অমানিশিতে কেটে যায় ভয়, অজানা শঙ্কা!
সকল অশরীরী পালায়; বেজে উঠে বিজয় ডঙ্কা।
যত ভয় আলো-আঁধারি মাঝে, বেলা ফুরালে সাঁঝে;
আলোহীন আঁধার থাকেনা বাঁধার নিকষ রাতের কাজে।


ঘুট-ঘুটে আঁধারের মাঝে অদৃশ্য দ্যুতি ফোটে-
আলোর আলোয় বন্ধ চোখে জ্যোতি ছুটে।
আঁধারের আঁধার খোঁজ, দেখিবে সেখানেও আলো;
জীবনের আঁধারের মাঝেও মন্দ যত সেখানেও আছে ভাল।